মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) হাইকোর্টে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে বিএসটিআই। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিও সংযুক্ত করেছে সংস্থাটি।
লাইসেন্স বাতিল হওয়া পণ্য হলো- আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ঘি ‘ফার্ম ফ্রেশ’, শক্তি এডিবল প্রা. লি. এর ‘শক্তি সয়াবিন তেল’, এ কে খান ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘সেফ’ সয়াবিন তেল, বিসমিল্লাহ সল্ট ফ্যাক্টরির আয়োডিনযুক্ত লবণ ‘উট’, জনতা সল্ট মিলের আয়োডিনযুক্ত লবণ ‘নজরুল’, জে কে ফুড প্রোডা. এর ‘মদিনা’ লাচ্ছা সেমাই, মডার্ন কসমেটিকস অ্যান্ড হরবাল ইন্ডাস্ট্রিজ লি. এর ‘মডার্ন’ স্কিন ক্রিম’, জিএম কেমিক্যাল ওয়ার্কসের ‘জিএম’ স্কিন ক্রিম, নিউ চট্টলা (প্রা.) লি. এর ‘এরাবিয়ান স্পেশাল’ ঘি, রেভেন ফুড কোম্পানি লিমিটেডের ‘রেভেন’ লাচ্চা সেমাই ও খাজনা মিঠাই লি. এর ‘খাজনা’ লাচ্চা সেমাই, ঘি ও চানাচুর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুনভাবে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেকে সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের উক্ত পণ্যগুলো বিক্রি-বিতরণ, সংরক্ষণ ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচার হতে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। একইসঙ্গে বাজার থেকে এসব পণ্য প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো এবং ভোক্তা সাধারণকে উক্ত পণ্যগুলো ক্রয় হতে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।
মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ওই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে রয়েছেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। আর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যারিস্টার মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম ও ভোক্তা অধিকারের পক্ষে রয়েছেন কামরুজ্জামান কচি।
সম্প্রতি ৪০৬টি খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষা করে বিএসটিআই। এর মধ্যে ৩১৩টি পণ্যের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ৩১৩টির মধ্যে ৫২ পণ্য মানহীন বলে প্রতিবেদন দেয় মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটি। বাকি ৯৩ পণ্যের পরীক্ষার ফলাফল প্রতিবেদন ১৬ তারিখের মধ্যে দিতে বিএসটিআইকে নির্দেশ দেন আদালত। সে অনুসারে বিএসটিআই ৯৩ পণ্যের মান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। এর মধ্যে ২২টি পণ্যই নিম্নমানের বলে জানায় তারা।
গত ৮ মে ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি’র (সিসিএস) নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান ওই রিট করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
ইএস/জেডএস