বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু, এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক মোরাদুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ৭১ জন, আহত হন আরও অনেকে। বাড়িঘর, রাস্তার গাড়িও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওয়াহিদ ম্যানশন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। এ ভবনে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক দ্রব্য মজুদ থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে চোখের পলকে, ঘটে মর্মান্তিক প্রাণহানি। এ বিষয়ে অবহেলাজনিত নরহত্যার অভিযোগে ওই ঘটনায় নিহত জুম্মনের ছেলে আসিফ বাদী হয়ে ওয়াহিদ ম্যানশনের মালিকের ছুই ছেলেসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় মামলা করেন।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ভবনটি মূলত আবাসিক। তা সত্ত্বেও আবাসিক ভবনকে গুদাম হিসেবে ব্যবহার করলে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে জানার পরেও রাসায়নিক গুদাম হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে অসাবধানতা ও আইনপরিপন্থি কাজ করা হয়েছে। এর কারণে বহু লোক হতাহত হয়েছেন।
এই মামলায় গত ২ এপ্রিল ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিকের দুই ছেলে সোহেল ওরফে শহীদ ও হাসান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর ৮ এপ্রিল এ দুই আসামির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৬ এপ্রিল রিমান্ড শেষে দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
একে