বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
তার দুই সহযোগী হলেন- মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীম (৪৫) ও বোরহান উদ্দিন রাব্বানী (৪২)।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক কামরুজ্জামান আদালতে হাজির করে আসামিদের ১০ দিন করে রিমান্ড দেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত চারদিন করে মঞ্জুর করেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) রাফাত আরা সুলতানা বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (০২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ ২-এর বড় মসজিদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। পরে তাদের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, আতিকুল্লাহ ১৯৯৬ সালে মুফতি হান্নানের নেতৃত্বে গঠিত হরকতুল জিহাদের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরে তিনি বায়তুল মাল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দায়িত্বশীল হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথম দিকে আতিকুল্লাহ দুবাই হয়ে সৌদি আরব পালিয়ে যান। সেখান থেকে একাধিকবার তিনি পাকিস্তান গিয়ে দেশটির জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আতিকুল্লাহ জানান, তিনি আশির দশকের শেষের দিকে আফগানিস্তানে সোভিয়েতবিরোধী যুদ্ধে অংশ নেন। তিনি বোমা তৈরিতে বিশেষভাবে দক্ষ। ওই সময় থেকেই তার সঙ্গে আল-কায়দার প্রয়াত প্রধান ওসামা বিন লাদেন, তালেবানের সাবেক শীর্ষ নেতা মোল্লা ওমর ও আল-কায়েদা নেতা আইমান আল জাওয়াহিরির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। গত মার্চে তিনি দেশে এসে নতুন করে হুজিকে সংগঠিত করার কাজে নামেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আতিকুল্লাহর সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া নাজিম উদ্দিন হুজির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি এবং বোরহান উদ্দিন রাব্বানী ফেনী জেলার দায়িত্বে আছেন।
আতিকুল্লাহর বাড়ি ফেনীর দাগনভূঁইয়ার দেবরামপুর এলাকায়। তার বাবার নাম হাফেজ আহসান উল্লাহ।
নাজিম উদ্দিনের বাবার নাম মাওলানা আবু ওবায়দুল্লাহ। বাগেরহাটের ডেমা মধ্যপাড়ায় তার গ্রামের বাড়ি।
আর রাব্বানীর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়।
আরও পড়ুন>> বিন লাদেনের সঙ্গে ‘বৈঠক করা’ হুজির আতিকুল্লাহ গ্রেফতার
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
টিএ