অস্ত্র ও মাদক আইনে হওয়া পৃথক মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে রোববার (৬ অক্টোবর) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন ধানমন্ডি থানায় করা মাদক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আবারও দশদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-২ উপ-পরিদর্শক জসীম উদ্দীন।
অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিলের জন্য জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমান জামিন আবেদন নাকচ করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে শফিকুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-২ এর অধিনায়ক আশিক বিল্লাল জানান, অভিযানের সময় শফিকুলের কাছে সাত প্যাকেট হলুদ রঙের ইয়াবা পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ ধরনের ইয়াবা পাওয়া যায়নি। এ ইয়াবায় কোনো প্রকার গন্ধ নেই। এটা নতুন আবিষ্কার।
তিনি আরও বলেন, অভিযানে একটা বিদেশি পিস্তলসহ তিন রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি ক্যাসিনোতে খেলার কয়েন, স্কোরবোর্ড ও ৫৭২ প্যাকেট তাস উদ্ধার করা হয়েছে। কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের যেসব জিনিসপত্র পাওয়া গেছে ধারণা করা হচ্ছে আগে এ ক্লাবে ক্যাসিনো খেলা হতো।
আটকের পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর র্যাব বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দু’টি মামলা করে। সেই মামলায় পরে তাকে আদালতে হাজির করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত তখন ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেই রিমান্ড শেষে রোববার তাকে ফের তিনদিনের রিমান্ডে পাঠানো হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৯
কেআই/ওএইচ/