সোমবার (৭ অক্টোবর) আদালতে আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য এ দিন ধার্য করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ।
এ মামলার আসামিরা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম, দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং তাদের সহকারী এনায়েত হোসেন।
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে বাসচাপায় নিহত হন শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব (১৭) ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম (১৬)। আহত হন আরও ১০-১৫ শিক্ষার্থী। ঘটনার দিনই নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।
২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২৫ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন। এরপর বিচার প্রক্রিয়ায় ৪১ সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলার ছয় আসামির মধ্যে জাবালে নূর পরিবহনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম, দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং তাদের সহকারী এনায়েত হোসেন কারাগারে রয়েছেন। জাবালে নূর পরিবহনের আরেক মালিক শাহাদাত হোসেন জামিনে রয়েছেন। তার মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশ স্থগিত রয়েছে। অপর আসামি চালকের সহকারী কাজী আসাদ পলাতক।
এ দুর্ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারা দেশে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছিল। শিক্ষার্থীদের সেই আন্দোলন তখন দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
কেআই/এইচএডি