শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারাফুজ্জামান আনছারী তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি চাপাতিসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ উপকরণ জব্দ করা হয়। শুক্রবার ১১ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। তারা আনসার আল ইসলামের আদর্শ অনুসারে কথিত জিহাদী গ্রুপ গঠন করে শারীরিক ও জিহাদী প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে কথিত হিজরত করে দেশের বিভিন্ন জেলার সদস্যদের নিয়ে সুন্দরবনের করমজল এলাকায় গমন করে একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নেয়। পরবর্তী সময়ে তারা সেখান থেকে বান্দরবান জেলার আলীকদম এলাকায় প্রায় একমাসব্যাপী কথিত জিহাদের প্রস্তুতির লক্ষ্যে শারীরিক, চাপাতি পরিচালনা ও অন্যান্য সাংগঠনিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।
পুলিশ জানায়, পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে গ্রেফতারকৃতরা সংগঠনের পরিকল্পনা ও টার্গেট বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ঢাকায় এসে ঘটনাস্থলে মিলিত হয়। গ্রেফতারকৃতরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ফেসবুক মেসেঞ্জার চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিষিদ্ধ সংগঠনের আদর্শ ও সত্ত্বাকে সমর্থন, প্রচার ও নির্দেশনা প্রদান পূর্বক জননিরাপত্তা বিপন্ন করার উদ্দেশ্যে প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের লক্ষ্যে নাশকতামূলক কার্যকলাপ করার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়।
তাদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
কেআই/জেআইএম