পাঁচ আসামি হলেন-রফিকুল ইসলাম, রাজ্জাক, সোহরাব হোসেন, জাকির হোসেন ও তোরাব।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৪ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এম আমিনউদ্দিন।
মামলার বাদী পক্ষ জানায়, ১৯৯৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আব্দুস সামাদকে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে দুষ্কৃতিকারীরা। ওইদিন তাকে স্থানীয় মমিনপুর রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে খুলনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ২ ফেব্রুয়ারি সকালে মারা যান সামাদ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা নজর আলী শেখ ৩ ফেব্রুয়ারি ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ১৯৯৬ সালের ২৩ জানুয়ারি ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ মামলায় খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট ১১ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। অভিযোগপত্রে আসামি ১২ জন থাকলেও মামলার রায় হওয়ার আগেই এক আসামি (আমজাদ হোসেন) মারা যায়। এ রায়ের পর ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন ছয় আসামি। কিন্তু তারা সাজাভোগের মেয়াদকাল ৯ মাসের পরিবর্তে ৯ বছর দেখিয়ে এ জামিন নেন। জালিয়াতির এ তথ্য ধরা পড়ার পর ওই বছরের ৯ জুন আপিল বিভাগ তাদের জামিন বাতিল করেন। এরই মধ্যে আসামিরা কারাগার থেকে বের হয়ে যাওয়ায় ওই বছরের নভেম্বরে আপিল বিভাগ তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এরপর আসামিরা আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে যাওয়ার একমাসের মধ্যে ৬ আসামির মধ্যে আলতাফ হোসেন নামে একজন মারা যান।
পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৫ মে আবারও হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন পাঁচ আসামি। এ জামিন বাতিলের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
ইএস/ওএইচ/