সোমবার (১৪ অক্টোবর) সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোফা জেলার কলারোয়া উপজেলার পূর্বকোটা গ্রামের হোসেন আলী গাজীর ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কেসমত ইলিশপুর গ্রামের খয়বর হোসেন মণ্ডলের ছেলে তোফায়েল একই এলাকার বাহাউদ্দীনের সঙ্গে মাছ ব্যবসা পরিচালনা করতেন। কিছুদিন পর তাদের ব্যবসায় লোকসান দেখা দেওয়ায়, উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। আর এ ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জের ধরে বাহাউদ্দীন তার পার্টনার তুহিনকে মারার জন্য মোফাসহ ৮-১০ জনকে ভাড়া করেন। এক পর্যায়ে ২০০২ সালের ২৬ জানুয়ারি দিনগত রাত ১১টার দিকে তুহিনের বাড়ির পাশে তাকে একা পেয়ে মোফাসহ তার সঙ্গীরা বোমা মেরে তাকে হত্যা করেন। এ ঘটনার পর দিন নিহত তুহিনের চাচা মোশারফ হোসেন গাজী বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় বাহাউদ্দীন ও মোফাসহ ১০ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১০ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর সোমবার নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে, এ মামলার অপর নয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শেখ আব্দুস সামাদ বাংলানিউজকে জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামি মোফাজ্জেল হোসেন মোফা পলাতক ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
আরবি/