মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।
এ মামলায় প্রসিকিউটর ছিলেন মোখলেসুর রহমান বাদল।
পরে আবুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, আসামিকে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পরামর্শ দেবো। আপিল করলে তারা খালাস পেতে পারেন।
পড়ুন>>গাইবান্ধার ৫ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা শুরু
৫ জন হলেন- মো. রঞ্জু মিয়া, রাজাকার কমান্ডার আবদুল জব্বার (৮৬), মো. জাফিজার রহমান খোকা (৬৪), মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল (৬২) ও মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ (৬৮)।
এর আগে গত ২১ জুলাই এ মামলার শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখেন। মামলায় মোট আসামি ছিলেন ছয়জন। এর মধ্যে আজগর হোসেন খান মারা গেছেন। আর মো. রঞ্জু মিয়া গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক।
২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর এ মামলায় তদন্ত শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৭ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা দেন।
ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই রঞ্জু মিয়াকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরমধ্যে আজগর মারা যাওয়ায় ২০১৭ সলের ৯ মার্চ তাকে বাদ দিয়ে বাকি ৫ আসামির বিরুদ্ধে ট্রাব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের ১৭ মে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এসব আসামির বিরুদ্ধে মোট চারটি অভিযোগ আনা হয়। যার সবগুলো প্রমাণিত হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন, লুটতরাজ, হত্যা, দেশত্যাগে বাধ্য করা, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
আসামিরা গাইবান্ধা সদরের নান্দিদা ও ফুলবাড়ী গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এবং সবাই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। আসামিদের মধ্যে মো. আবদুল জব্বার, মো. জাফিজার রহমান খোকা ও মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল ১৯৭১ সালের আগে থেকেই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। জব্বার ও খোকা মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৯৭২ সালে গ্রেফতার হলেও তাদের কোনো বিচার হয়নি।
খোকার বর্তমান ঠিকানা রাজধানীর কাফরুল থানার উত্তর ইব্রাহিমপুর। তিনি ১৯৭৫ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালে অবসর নেন। মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ ১৯৭৪ সালে কৃষি বিভাগে চাকরিতে যোগ দিয়ে ২০১২ সালে অবসর নেন বলে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার অভিযোগে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯/আপডেট: ১৩০৯ ঘণ্টা
ইএস/এমএ