এছাড়াও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে নির্যাতনের শিকার শিশুকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে দেওয়ার জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত লাভলু সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রায়পুর মহল্লার বাসিন্দা।
ওই আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট আনোয়ার পারভেজ লিমন এ তথ্য বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১০ মে বিকেলে লাভলু একই গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে এ কথা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দোখায় ওই শিশুটিকে। এর সাত/আটদিন পর লাভলুর বাড়ির সামনে শিশুটি ফল কুড়োতে গেলে একইভাবে আবারও ধর্ষণ করে এবং ভয়ভীতি দেখান। প্রায় তিন মাস পর শিশুটি গর্ভধারণ করলে বিষয়টি টের পায় স্বজনরা।
পরে শিশুটির মা বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় লাভলুর নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেয় পুলিশ। মামলার শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন বিচারক।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
এসআরএস