পরে পুলিশ প্রহরায় আদালত থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সম্রাটকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। এ সময় আদালত চত্বরে অবস্থান নেওয়া সম্রাটের সমর্থকরা তার মুক্তির জন্য নানা স্লোগান দেন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে এর আগে থেকেই আদালত চত্বরে জড়ো হতে থাকেন তার সমর্থকেরা।
সিএমএম আদালতের রাস্তা সংলগ্ন গেট ও ভবনের মূল গেটে জটলা করে অবস্থান করেন তারা। তবে সম্রাটের মুক্তির দাবি জানালেও নেতাকর্মীরা নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।
পুলিশ মূল গেটের সামনে থেকে তাদের সরিয়ে দিতে চাইলেও তারা সেখানেই অবস্থান নেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ছিল।
এদেক দুই মামলায় ২০ দিনের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তবে শুনানি শেষে আদালত দুই মামলায় পাঁচদিন করে মোট ১০ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আর মাদক মামলায় এনামুল হক আরমানকে দেওয়া হয়েছে পাঁচদিনের রিমান্ড।
এর আগে গত ০৭ অক্টোবর সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। ৫ অক্টোবর গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামের জামায়াত নেতা মনির চৌধুরীর বাড়ি থেকে সম্রাটকে আটক করা হয়।
তার সঙ্গে আটক হন যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানও।
পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে ০৬ অক্টোবর দিনভর রাজধানীতে সম্রাটের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। ওইদিন কাকরাইলের কার্যালয়ে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণের দায়ে সম্রাটকেও একই মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
এজেডএস/এমএ/