শুক্রবার (১ নভেম্বর) অস্ত্র ও মাদক মামলায় রিমান্ড শুনানির সময় আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি একথা বলেন।
এদিন বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালতে মঞ্জুকে হাজির করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন-অর রশিদ।
প্রথমে অস্ত্র মামলায় সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন বলেন, আসামির কাছ থেকে চার রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এ অস্ত্রের উৎস ও তার সঙ্গে আর কারাজড়িত তা বের করতে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করা হোক। তাছাড়া আসামির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগ আছে। জিজ্ঞাসাবাদে এসব বিষয়েও তথ্য বেরিয়ে আসবে।
এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ বলেন, আক্রোশ চরিতার্থ করার জন্য তাকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। র্যাব অফিস ও কাউন্সিলর অফিস পাশাপাশি। আগে কখনও এমন অভিযোগ তারা পাননি। হঠাৎ করে তারা সন্ধান পেয়ে অভিযান চালালেন।
আইনজীবী বলেন, তিনি (মঞ্জু) দুইবারের কমিশনার। তিনি চাইলে অস্ত্র লাইসেন্স নিতে পারতেন। তার ডায়বেটিস ও হার্টের সমস্যা আছে। এখন অস্ত্র যেহেতু ওনারা উদ্ধারই করে ফেলছে, তাহলে আর রিমান্ডের প্রয়োজন কি। তাই আমরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করছি।
এরপর কাউন্সিলর মঞ্জু কথা বলতে শুরু করেন। তিনি বলেন, আমি ১৫ বছর ধরে কাউন্সিলর, আমার ঢাকায় একটা বাড়ি পর্যন্ত নেই। আমি জীবনে চাঁদাবাজি করিনি, চাঁদাবাজিকে আমি ঘৃণা করি। আমার কোনো অস্ত্র নেই, অস্ত্র জীবনে দেখিওনি।
এরপর মাদক মামলার শুনানি শুরু হয়। এ মামলায় প্রথমে আদালত পুলিশের কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনের প্রার্থনা করেন। এ সময় তিনি বলেন, আসামির কাছ থেকে ৫০০ পিস ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে।
এ সময় আইনজীবীদের বক্তব্যের আগে কাউন্সিলর মঞ্জু বলেন, আমি হলফ করে বলতে পারি আমার অফিসে এসব কিছু পায়নি। আমি ১৫ বছর কাউন্সিলর, আমি রাজধানী মার্কেটের সভাপতি। একটি খারাপ গোষ্ঠী আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমাকে সরাতে পারলে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল হয়। আমি গাঁজা, বাবা এগুলো ঘৃণা করি।
তখন আদালত বলেন, বাবা কি? জবাবে মঞ্জু বলেন ওই যে ওনারা যেগুলো বললেন, ইয়াবা।
এরপর আরেকবার মঞ্জু বলেন, আমি কসম খেয়ে বলতে পারি এগুলো কিছু পায়নি। এগুলো সব মিথ্যা। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীর সহযোগিতায় তার কথা বলা বন্ধ করেন বিচারক।
এরপর উভয়পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে আদালত দুই মামলায় মঞ্জুর ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
** কাউন্সিলর মঞ্জু ১০ দিনের রিমান্ডে
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
কেআই/ওএইচ/