বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন আইনজীবী মো. জে আর খাঁন রবিন।
তিনি জানান, আইনজীবীদের দায়মুক্তির বিধান করতে আইন সচিবসহ ৬ জনকে বিবাদী করে এ রিট করা হয়েছে।
রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, ভাইস-চেয়ারম্যান, সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী মো. জে, আর, খাঁন রবিন আরও জানান, সুপ্রিম কোর্ট রুলস (হাইকোর্ট বিভাগ) ১৯৭৩ এর বিধি-৮ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মামলার সত্যায়িত অনুলিপি যুক্ত করে আদালতে যেকোন ব্যক্তি কর্তৃক হলফ সম্পাদনের মাধ্যমে মামলা দায়ের করা সম্ভব। এ সুযোগে দালাল ও জালিয়াত চক্র অনেক সময় জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সুবিধামত কাগজ সৃজন করে যেকোন একজন তদবিরকারীকে দিয়ে আইনজীবীদের কাছে পাঠান, আর আইনজীবী এসব কাগজ সংযুক্ত করে সরল বিশ্বাসে অনেক ক্ষেত্রে নামমাত্র ফি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
‘পরবর্তীতে যদি এসব কাগজ জাল বলে আদালতে প্রমাণিত হয় তখন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। যদিও এসব সৃজিত কাগজের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অবগত থাকেন না বা দেখেও প্রতীয়মান করা সম্ভব না। অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকে আত্মপক্ষ সমর্থনে সুযোগ দেওয়া হয় না। তারপরও মামলা হলে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সন্দেহের তীর থাকে তদবিরকারক ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের বিরুদ্ধে এবং অনেক আইনজীবী এ ধরনের মিথ্যা মামলার জালে পড়ে নানারকম হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। ’
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অ্যান্ড লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার অর্ডার অ্যান্ড রুলস ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ১৭ ও ১৮ অনুযায়ী বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, ট্রাইব্যুনাল, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের কমিটি, বার কাউন্সিলের নিযুক্তীয় কর্মকর্তারা ও কর্মচারীদের দায়মুক্তির বিধান থাকলেও বিজ্ঞ আইনজীবীদের মামলা সংক্রান্ত সরল বিশ্বাসে কৃত কোনো কাজের জন্য দায় মুক্তির বিধান নাই যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন জে আার খাঁন রবিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২,২০১৯
ইএস/এসএইচ