মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিজ চেম্বারে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু।
তিনি বলেন, দাবি একটাই, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, সেই শক্তিকে যারা রাজাকার-আলবদরের তালিকায় যুক্ত করেছে সেটা কীভাবে হলো, তার উৎস কারা, সেটা খুঁজে বের করে আইনগতভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
একুশে পদকপ্রাপ্ত এই ভাষা সৈনিক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় একটি লিস্ট বের করলো রাজাকারের, সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে আমার সঙ্গী ৪/৫ জন। যাদের পরিবারের সদস্য মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। আমাদের রাজাকারের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এটা বুঝে পেলাম না কোথা থেকে তারা এ শক্তিটা পেলেন। এটা মনে হয় যে মুক্তিযুদ্ধ সংস্থায় যুদ্ধপরাধীর পক্ষের শক্তি বা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ শক্তি তাদের অবস্থান কিছুটা রয়ে গেছে। এবং সেখান থেকে এ জিনিসগুলো হচ্ছে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে।
পরে তার বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন। এসময় উপস্থিত প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।
এক পর্যায়ে প্রসিকিউটাররা ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট একটি গেজেটের কথা উল্লেখ করেন। ওই গেজেটে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন, বিশেষ গেরিলা বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা রয়েছে। সেখানে অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু ৩৩ নম্বর ক্রমিকে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
ইএস/এএ