'নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চাইলে সংবিধান লংঘন করে মুক্তিযোদ্ধাদের চরিত্রহননের জন্য দেশের প্রচলিত আইনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে'- বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী।
যদিও বুধবার ওই তালিকা স্থগিত করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, 'বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে জানতে পারি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় নানা অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। এ তালিকায় এমন সব ব্যক্তির নাম এসেছে যারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন এবং হানাদারবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। কেউ কেউ সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছেন।
রাজাকারের তালিকায় এমন শহীদ পরিবারের সদস্যদের নামও রয়েছে। অথচ এতে অনেক চিহ্নিত রাজাকারের নাম বাদ পড়েছে বলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। ফলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকায় দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ে আঘাত দেওয়া হয়েছে; তাদের অসম্মান করা হয়েছে। যা দেশ ও জাতির জন্য লজ্জার।
‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডে সমগ্র জাতিকে দেশ ও দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে পদদলিত করা হয়েছে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব নিয়ে এবং বীরত্বগাথা সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সরাসরি রাষ্ট্রদ্রোহিতার মতো গর্হিত অপরাধ করেছেন। যা দেশের প্রচলিত সংবিধান পরিপন্থি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
ইএস/এএ