ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ঢাকা রেঞ্জের এসপির বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
ঢাকা রেঞ্জের এসপির বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের মামলা

ঢাকা: ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুণ্নের অভিযোগে ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (ট্রেনিং অ্যান্ড মিডিয়া) মো. জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ উৎপল ভট্টাচার্যের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জাকির হোসেন চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ী।

আদালত এ বিষয়ে বিবাদীকে জবাব দিতে আগামী ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, বাদীর গোপালগঞ্জে বেকারির দোকান রয়েছে। সেই দোকানে কাজ করতেন তার ভাই বাচ্চু হোসেন। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম, এসআই গোলাম কিবরিয়া ও তাদের সোর্স প্রবাল বিশ্বাসের সেই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া ছিল। তারা অনেক সময় দোকান থেকে  টাকা না দিয়েই মালামাল নিয়ে চলে যেতেন। একজন গরিব মানুষ হিসেবে বাচ্চু তাদের আচরণে অতিষ্ঠ ছিলেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ৭ মে সোর্স প্রবাল বিশ্বাস তার দোকানে ফ্রি কফি খেতে যান। বাচ্চু কফি না দিলে ফিরে আসেন। আবার ফিরে এসে সোর্স প্রবাল বলেন, দোকানে এক লাখ ৬৫ হাজার টাকাসহ একটি ব্যাগ ফেলে গেছেন। তখন বাচ্চু খোঁজাখুজি করে ব্যাগ না পাওয়ার কথা জানান। এরপর টাকাসহ ব্যাগ চুরির অভিযোগে এসআই গোলাম কিবরিয়া তাকে থানায় নিয়ে যান। সেখানে ওসি মনিরুল ইসলাম, এসআই গোলাম কিবরিয়া ও সোর্স প্রবাল বিশ্বাস তাকে বেদম প্রহার করেন। এরপর সাদা কাগজে সই রেখে বাচ্চুকে ছেড়ে দেন তারা।

থানা থেকে বের হয়ে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন বাচ্চু মিয়া। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে ২০১৯ সালের ১৬ মে পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর নির্যাতনের বিচার চেয়ে আবেদন করেন। সেই অভিযোগের তদন্তভার দেওয়া হয় এসপি জিয়াউল হককে। তিনি গত বছর ১৩ জুন ও ২২ জুলাই অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দিতে বাচ্চুকে ডাকেন। তবে অসুস্থ থাকায় শুনানিতে যেতে পারেননি বলে লিখিতভাবে সে বিষয়ে জিয়াউলকে জানান। পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে বাচ্চু সাক্ষীসহ জিয়াউল হকের কাছে গিয়ে বক্তব্য দিতে চাইলেও তা লিপিবদ্ধ করেননি। এরপর এসপি জিয়াউল এ অভিযোগের সত্যতা পাননি মর্মে প্রতিবেদন দেন।

আর্জিতে আরও বলা হয়, সেই প্রতিবেদনে সত্য ধামাচাপা দিয়ে ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার বঞ্চিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দোষীদের বাঁচিয়ে দেওয়াই শুধু হয়নি, বাদীর শারীরিক মানসিক ও ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ ক্ষতির পরিমাণ ৫ কোটি টাকা উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাতা এসপি জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।  

এদিকে পুলিশে অভিযোগ দেওয়ার পর বাচ্চু ও তার স্ত্রী সাহিদার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জে পুলিশের সোর্স মিথ্যা মামলাও করেছেন বলে উল্লেখ করেন বাদী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।