ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বাদশা হত্যা: বরগুনায় আ. লীগ নেতাসহ ৬ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১
বাদশা হত্যা: বরগুনায় আ. লীগ নেতাসহ ৬ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা

বরগুনা: বরগুনার আলোচিত যুবলীগ কর্মী শামীম ইমতিয়াজ ওরফে বাদশা হত্যা মামলায় বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বুড়িরচর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইয়াসির আরাফাত অভিযোগ পত্র গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।

সিদ্দিকুর রহমান সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গত ৭ জানুয়ারি আলোচিত এই হত্যা মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।  

মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- মহসিন সরদার, জাকারিয়া, আল-আমিন গাজী, রাকিব সরদার, সাবু সরদার, সাবু ফকির, মতলেব সরদার, আল-আমিন আকন, মাহবুব সরদার, নাসরিন বেগম, সেয়ারা বেগম ও মাহতাব সরদার। নিহত বাদশা বুড়িরচর ইউনিয়নের সোহরাব মৃধার ছেলে। তিনি উপজেলা যুবলীগের সদস্য ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা আলোচিত যুবলীগ কর্মী বাদশা হত্যা মামলার পলাতক ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এছাড়া দুই আসামি স্থায়ী জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

এই হত্যা মামলা প্রথম তদন্ত করেন বরগুনা সদর থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম। তার বদলি হওয়ার কারণে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি)। সে সময়কার সিআইডির পরিদর্শক জুলফিকার প্রায় এক বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে পারেননি। পরে তদন্ত দেওয়া হয় সিআইডির আরেক উপ-পরিদর্শক সেলিম সরদারকে। তিনি তদন্ত শেষ করে ৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি রাত আটটার দিকে বাদশাকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের কামড়াবাদ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরের দিন ৯ জানুয়ারি নিহত বাদশার বাবা ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগ রয়েছে, মহসিন নামের এক যুবকের সঙ্গে বাদশার বাবার কথা কাটাকাটি হয়। এসময় সোহরাবকে মারধর করেন মহসিন ও তার সহযোগীরা। বাবাকে মারধরের প্রতিবাদ করায় মহসিনের লোকজন মিলে বাদশাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় বাদশা দৌড়ে পাশের অটোরিকশা স্ট্যাণ্ডে যান এবং মোবাইল ফোনে তাঁর বাবাকে সবকিছু জানান। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় বাদশাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদশাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত বাদশার বাবা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সন্তানের হত্যার সুবিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমি হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। এখন কিছুটা আশার আলো দেখছি। তবে আসামিদের স্বজনরা আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।