ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

নীলফামারীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
নীলফামারীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলী গ্রামে স্ত্রী সুমী আক্তারকে হত্যার দায়ে স্বামী আলমগীর হোসেনকে (২৮) ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দণ্ডিত আসামির ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. মাহাবুবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।  

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির পরিবারের অন্য  ছয় সদস্য যথাক্রমে বাবা সিরাজুল ইসলাম, মা আনোয়ারা বেগম, বোন শিল্পী বেগম, চাচা ওবায়দুর রহমান, বড় ভাই জিয়াউর রহমান ও চাচি রোকসানা বেগমকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায়ের সময় সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বাদী সুমীর বাবা এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রেম করে ইজিবাইকচালক আলমগীর হোসেন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলী গ্রামের খতিবর রহমানের মেয়ে সুমী আক্তারকে। এর পরদিন উভয় পরিবার ঘটনাটি মীমাংসা করে পারিবারিক সিদ্ধান্তে আনুষ্ঠানিকভাবে পুনরায় বিয়ের আয়োজন করে। ওই সময় সুমীর বাবা জামাতা আলমগীরকে নগদ এক লাখ টাকা দেন।  

মামলায় আরও বলা হয়, বিয়ের দুই বছর পর জামাতা আলমগীর ইজিবাইকের ব্যাটারি কেনার জন্য আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই টাকা সুমীকে তার বাবার কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকেন।
 
সুমী ও সুমীর বাবা সেই টাকা দিতে অপারগত প্রকাশ করে। টাকা না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর রাতে স্ত্রী সুমীকে রশি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করলে ঘটনাস্থলে মারা যায় সুমী।
 
প্রথমে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও মরদেহের সুরতহালে শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়ায় ঘটনার পর দিন (৭ নভেম্বর/২০১৬) সুমীর বাবা বাদী হয়ে ডিমলা থানায় আলমগীরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মারধরের আঘাতজনিত কারণে হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। পুলিশ ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট রমেন্দ্র বর্ধন বাপী। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৫ বছরের মাথায় এ রায় ঘোষণা করা হয়।

আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আল-বরকত হোসেন। তিনি বলেন, আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।