ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

কিশোর-সামিসহ ৭ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২২
কিশোর-সামিসহ ৭ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ, করোনাভাইরাস নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে আল-জাজিরায় প্রকাশিত 'অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স ম্যান' সংবাদের মূল হোতা সামিউল ইসলাম খান ওরফে সায়ের জুলকারনাইন, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ সাত জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) এ মামলায় ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল৷

তবে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলায় চার্জগঠন করে দেওয়া আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করার কথা জানিয়ে সময় চায় আসামিপক্ষ।

তাই বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে ২৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম মামুন এ তথ্য জানান।

২৭ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত। একইসঙ্গে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৭ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়।

বিচারে সোপর্দ অন্য আসামিরা হলেন- সুইডেন প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক, নেত্র নিউজের সম্পাদিকা তাসনীম খলিল, ব্লগার আশিক মোহাম্মাদ ইমরান, মো. ওয়াহিদুন্নবী, রাষ্ট্রচিন্তার মো. দিদারুল আলম ভূঁইয়া এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন।

আসামির মধ্যে সামিউল ইসলাম খান, তাসনীম খলিল আশিক, ব্লগার আশিক মোহাম্মাদ ইমরান ও মো. ওয়াহিদুন্নবী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

লেখক মোশতাক আহমেদ মারা যাওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অপরদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও ফেসবুক আইডি ফিলিপ শুমাখারকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের ১০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফছর আহমেদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন।

এর আগে, ২০২০ সালের ৫মে র‌্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, মোস্তাক আহমেদ, দিদারুল আলম ভূঁইয়া, মিনহাজ মান্নানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহামারি করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন মর্মে অভিযোগ আনা হয়।

মামলার পর গ্রেফতার হয়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মিনহাজ মান্নান ও দিদারুল আলম ভূঁইয়া জামিনে মুক্তি পান। কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মোস্তাক কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় ২৫মে মোস্তাক কাশিমপুর কারাগারে মারা যান।

২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মামলার পূর্বের তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহসীন সর্দার প্রথম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সেখানে কার্টুনিস্ট কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার দিদারুল ও লেখক মোস্তাককে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

অন্যদিকে সায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি ও মিনহাজ মান্নান, আশিক মোহাম্মাদ ইমরান, তাসনীম খলিল ও মো. ওয়াহিদুন্নবীসহ ৮ জনের অব্যাহতি চাওয়া হয়েছিল।

চার্জশিটে আল-জাজিরা টেলিভিশনে সরকার প্রধান এবং সেনা প্রধানকে নিয়ে প্রচারিত প্রতিবেদনে প্রধান চরিত্র হিসেবে সামিউল ইসলাম খান ওরফে সায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি অব্যাহতি পাওয়া নিয়ে সংবাদ পত্রে আলোচনা-সমালোচনা হওয়ায় মামলাটি পরে অধিকতর তদন্তে পাঠানো হয়। তদন্ত শেষে এবার ৭ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২২
কেআই/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।