সিলেট: সিলেটে দুই গ্রামের সংঘর্ষে মাদরাসা শিক্ষক হাফিজ সালেহ আহমদ হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ৩ দিন পর নিহতের ভাই নুর উদ্দিন বাদি হয়ে জৈন্তাপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রফিক আহমদসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১২-১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারনামীয় আসামিদের সবাই হেমু হাউদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। মামলায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান রফিক আহমদও ওই গ্রামের মৃত আহমদ আলীর ছেলে।
এর আগে, মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) জৈন্তাপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বাদি পুলিশ আক্রান্তের ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৭৭ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮০০-১০০০ জনকে আসামি করা হয়।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত, ৩ এপ্রিল দিনগত রাত থেকে ৪ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান রফিক আহমদের পক্ষে হাউদপাড়া ও সাবেক চেয়ারম্যান রশিদ আহমদের পক্ষের শ্যামপুর গ্রামের লোকজনের মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ থামানোর জন্য মধ্যস্থতা করতে গেলে হাফিজ সাহেল আহমদকে পিঠিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংঘর্ষে ৭ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আটক করা হয় ৮ জনকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩৫৮ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ৫৮ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২২
এনইউ/জেডএ