ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পলাতকদের পক্ষ নিয়ে আসবেন না, আইনজীবীদের হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৪ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২২
পলাতকদের পক্ষ নিয়ে আসবেন না, আইনজীবীদের হাইকোর্ট

ঢাকা: যেসব আসামি মামলার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না কিংবা পলাতক রয়েছেন তাদের পক্ষে মামলা পরিচালনা না করতে আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তারপরও যদি কোনো আইনজীবী পলাতকদের পক্ষে মামলা নিয়ে আসেন (অ্যাপেয়ার করেন) তাহলে সেসব আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হবে বলে সতর্ক করে দেন উচ্চ আদালত।

রোববার (৫ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি  কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ আইনজীবীদের উদ্দেশে এমন মন্তব্য করেন।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই বেঞ্চে উপস্থিত সব আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, আপনাদের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, যেসব আসামি মামলার প্রসিডিংসের বাইরে রয়েছেন, কিংবা পলাতক রয়েছেন তাদের পক্ষে কেউ অ্যাপেয়ার করবেন না। এরপরও যদি কেউ পলাতকদের পক্ষে মামলা নিয়ে আসেন তাহলে সেসব আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কনটেম্পট রুল ইস্যু করবো।

এ সময় আদালতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।    

দুদকের করা এক মামলায় ২০০৮ সালে মামলা বাতিলের আবেদনের সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান আইনের দৃষ্টিতে পলাতক ছিলেন। মামলা বাতিলে জুবাইদা রহমানের করা আবেদন খারিজ করে গত ১৩ এপ্রিল আপিল বিভাগ রায় দেন। সম্প্রতি এ রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।

২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক।  

মামলায় তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে একই বছরে জুবাইদা রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।  

ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে জুবাইদা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন।  

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন জুবাইদা রহমান। ১৩ এপ্রিল সেটি খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।  

একই মামলায় ২০০৭ সালে তারেক ও জুবাইদা পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন ও এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন।

রুল জারির ১৫ বছর পর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ এপ্রিল রিট মামলা হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ওঠে। এরপর হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য ২০ এপ্রিল দিন ঠিক করেন। কিন্তু ওইদিন তারেক-জুবাইদার পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে হাইকোর্ট শুনানির জন্য ২৯ মে দিন ঠিক করেন।

পরে ২৯ মে ফের সময় চেয়ে আবেদন করেন তারেক ও জুবাইদার আইনজীবী। পরে হাইকোর্ট ৫ জুন রুল শুনানির জন্য দিন ধার্য করে দেন। আজকে এ তিনটি রিট আবেদন কার্যতালিকায় রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২২
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।