ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সিলেটে ডাবল মার্ডার: এক আসামির ফাঁসি, বিভিন্ন মেয়াদে ১১ জনের সাজা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৬ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২২
সিলেটে ডাবল মার্ডার: এক আসামির ফাঁসি, বিভিন্ন মেয়াদে ১১ জনের সাজা

সিলেট: সিলেটের বিশ্বনাথে ডাবল মার্ডার মামলায় এক আসামির ফাঁসি ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ রায় দেন।

রায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল কাদির (পলাতক) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার পশ্চিম গাওয়ের ইন্তাজ আলীর ছেলে। তাকে ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আরো ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

জামিনে থাকা আসামি আব্দুল মনাফ, পলাতক থাকা সোহেল আহমদ ও ইলিয়াছ আলীকে ৩০৪ ধারার পার্ট-২ অনুযায়ী ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ২ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

জামিনে থাকা আসামি ধন মিয়াকে ৩২৪ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া জামিনে থাকা বিশ্বনাথ উডজেলার পশ্চিম সিঙ্গেরকাছ গ্রামের আব্দুল মতিন, পলাতক আলম, রেজাউল করিম, গেদু মিয়ার ছেলে রুবেল আহমদ, পলাতক ইসলাম উদ্দিন-এই ৫ জনকে ৩২৩ ধারায় ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মামরার বরাত দিয়ে অত্র আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, ২০১২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সিঙ্গেরকাছ এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। ঘটনার দিন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল কাদির ডেগার দিয়ে ও কুপিয়ে আব্দুল খালিককে পেটের বাম দিকে আঘাত করলে নারিভুরি বের হয়ে আসে। এরপর সঙ্গীরাসহ কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন আব্দুন নুর নামের আরেক ব্যক্তি। তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়।

ঘটনার একদিন পর ১০ সেপ্টেম্বর নুর উদ্দিন বাদি হয়ে বিশ্বনাথ থানায় ২৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পক্ষান্তরে অপর পক্ষও থানায় কাউন্টার মামলা করে।

হত্যা মামলাটি জিআর ১৭৪/২০১২ মূলে আদালতে রেকর্ড হয়। ২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেস্বর মামলাটির সম্পূরক অভিযোগপত্র (চার্জশীট নং-১২৪) দেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আহাদ। এরপর অত্র আদালতে দায়রা ১০০৪/২০১৫ মূলে রেকর্ড করা হলে ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই চার্জ গঠনের পর বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

এর মধ্যে জামিন পেয়ে যান ১৬ আসামি, ৮ জনকে পলাতক রেখেই মামলার রায় দেওয়া হয়। এছাড়া মামলা চলাকালে দু’জন মারা যান, তাদের এবং আইনজীবী সিরাজুল ইসলামসহ বাকিদের খালাস দেওয়া হয়।

এছাড়া একই ঘটনায় কাউন্টার মামলায় জিআর-১৭৮/১২ একই সঙ্গে রায় দেওয়া হয়। এতে চেয়ারম্যান আবারক আকবর নামে দুই আসামির ১ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মামলায় সরকারী কৌঁশুলী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার ও আসামি পক্ষে গোলাম এহিয়া চৌধুরী।    

বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২২
এনইউ/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।