ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ইভ্যালির চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের নামে লক্ষ্মীপুরে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২২
ইভ্যালির চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের নামে লক্ষ্মীপুরে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন

লক্ষ্মীপুর: ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার চেকের মামলায় লক্ষ্মীপুর আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আরেফিন এ আদেশ দেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- ইভ্যালির ম্যানেজার ফাইন্যান্স জায়েদ হাসান, সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল।

মামলার আইনজীবী ও ভুক্তভোগী মুহাম্মাদ মাহমুদুল হক সুজন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনিই মামলার বাদী। তিনি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে।

অ্যাডভোকেট সুজন বলেন, ইভালির নামে করা মামলাগুলো আমলে নিয়ে বিচারক সমন জারি করেন। মঙ্গলবার (১৪ জুন) আসামিদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য আদালত নোটিশ পাঠায়। কিন্তু তারা আদালতে উপস্থিত হননি। এতে আদালতের বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, চলতি বছর ২৭ ও ২৮ মার্চ মুহাম্মদ মাহমুদুল হক সুজন বাদী হয়ে ইভ্যালির চেয়ারম্যানসহ চারজনের নামে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনটি মামলা দায়ের করেন।  

এজাহার সূত্র জানা যায়, মাহমুদুল হক এসি, টিভি, ফ্রিজ ও মোটরসাইকেল কেনার জন্য ইভ্যালিতে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু পণ্যগুলো দিতে ইভ্যালি ব্যর্থ হয়। এতে ইভ্যালির কর্মকর্তা জায়েদ হাসান ও আব্দুল্লা আল মাসুদের যৌথ স্বাক্ষরে মিডল্যান্ড ব্যাংক হিসাবে ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার তিনটি চেক রেডেক্স কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মাহমুদুল হকের কাছে পাঠানো হয়। চেকগুলো নগদায়নের জন্য তিনি গত ১৩ জানুয়ারি নিজের ওয়ান ব্যাংক হিসাবে জমা দেন। এর মধ্যে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও ৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকার পৃথক চেক ছিল। ওয়ান ব্যাংক থেকে চেকগুলো নগদায়নের জন্য মিডল্যান্ড ব্যাংকে পাঠালে জানা যায়, ইভ্যালির হিসাব বন্ধ রয়েছে।  

এতে চেক ডিজঅনার পূর্বক চেকগুলো ফেরত আসে। ১০ ফেব্রুয়ারি মাহমুদুল হক আইনজীবীর মাধ্যমে পাওনা টাকার জন্য অভিযুক্তদের লিগ্যাল নোটিশ দেন। কিন্তু তারা পাওনা টাকা পরিশোধ করেননি ও চেকগুলোও ফেরত নেননি। এতে ইভ্যালির ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা ও হিসাব বন্ধ থাকা সত্ত্বেও চেক দেওয়ায় অভিযুক্তদের নামে ১৮৮১ সালের এন.আই.অ্যাক্টের ১৩৮/১৪০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং তার স্বামী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মামলা এখনো চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।