ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

চট্টগ্রামের পাহাড় থেকে বসতি-স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২২
চট্টগ্রামের পাহাড় থেকে বসতি-স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ

ঢাকা: চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী, আকবরশাহ, খুলশীসহ বিভিন্ন এলাকার পাহাড় থেকে বসতি ও আবাসিক স্থাপনা ৩০ দিনের মধ্যে অপসারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে দায়ের করা এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (৭ আগস্ট) রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনিজিল মোরেসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ১৫ ধারায় ১৫ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।  

পাশাপাশি পাহাড় কাটা বন্ধে অবিলম্বে একটি ‘সার্বক্ষণিক মনিটরিং কমিটি’ গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গঠনের পর এ কমিটিকে তিন মাস পর পর প্রতিবেদন দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।

দৈনিক কালের কণ্ঠে গত ২৬ জুলাই ‘চট্টগ্রামে পাহাড়ে লোভের কোপ/পাহাড় কেটে প্লট, উঠছে দালান’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ১ আগস্ট হাইকোর্টে এ রিট আবেদনটি করা হয়।  

পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মণ্ডল।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরেসেদ জানান, পাহাড়ে যে কোনো স্থাপনাই অবৈধ। সেখানে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার পাহাড় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে। আবাসিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। এজন্য রিট আবেদন করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়েছিলাম। আদালত রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।  

রুলে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী, আকবরশাহ, খুলশীসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অবাধে পাহাড় কাটা ও আবাসিক স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।  

তার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার, বায়েজিদ বোস্তামী, আকবরশাহ, খুলশীসহ সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২২
ইএস/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।