ঝিনাইদহ: জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্কুলশিক্ষক হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরের দিকে ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা এ দণ্ড দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- শৈলকুপা উপজেলার শিতলী গ্রামের মৃত গোলাম কুদ্দুস খানের ছেলে রান্নু খান, শামছুর রহমান খান ও তার ছেলে জামাল খান, কানু খান।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১৪ সালের ০৭ সেপ্টেম্বর শৈলকুপা উপজেলার শিতলী গ্রামে স্কুলশিক্ষক আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে আসামিরা। সেখান থেকে তাকে প্রথমে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করা হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরদিন তার স্ত্রী শিউলী খাতুন বাদী হয়ে সাতজনের নামে শৈলকুপা থানায় হত্যা মালা দায়ের করে। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আসামিদের নামে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। দীর্ঘ শুনানি ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত প্রতিবেশী রান্নু খান, জামাল খান ও কানু খানকে মৃত্যুদণ্ড ও শামছুর রহমান খানকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে ও আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ মামলায় অভিযুক্ত তিনজন নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
নিহত আলাউদ্দিনের ছেলে রাশিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমারই সামনে বাবাকে ওই সাতজন পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছেন। রায়ে তিনজন খালাস পাওয়ায় আমি আদালতের প্রতি সম্মান রেখে দুঃখ প্রকাশ করছি। ওই তিনজনকেও শাস্তির আওতায় আনার দরকার ছিল বলে মনে করি। ’
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন বাদশা বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। দ্রুত রায়টি কার্যকর যেন হয় সেই আশা করছি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান তুহিন বলেন, আমরা এ রায়ে খুশি না, আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তারিকুল আলম বলেন, এ রায়ে আমরা খুশি, তবে খালাসপ্রাপ্ত তিন আসামিকেও সাজা দিলে আমরা আরও খুশি হতাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
এসআরএস