ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার সব আসামি খালাস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২২
লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার সব আসামি খালাস

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের দত্তপাড়ায় রুবেল (২৫) নামে এক ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১৭ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

 

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন।  

তিনি জানান, অভিযুক্ত আসামিরা সাক্ষ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাসের রায় দেন। রায়ের সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  

ভিকটিম রুবেল সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে। পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে খুন করা হয়।  

জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ছাত্রলীগ নেতা রুবেলকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রুবেলের সৎ মা নয়ন বেগম (৫৭) বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন দত্তপাড়া এলাকার এক সময়ের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও দত্তপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন শামীম বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মাসুম বিল্লাহ ওরফে লাদেন মাসুম। ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর দুর্বৃত্তের হাতে খুন হয় মাসুম বিল্লাহ। এছাড়া ওই মামলায় আরও দুই আসামির মৃত্যু হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার রাতে রুবেল সদর উপজেলার মান্দারী বাজারের তার বোনের বাড়িতে ছিলেন। রাতে মোবাইল ফোনে তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরদিন সকালে দত্তপাড়া ইউনিয়নের বরপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর বাড়ির পুকুর পাড়ে তার তার হাত-পা বাঁধা ও গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

এ ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারি নিহত রুবেলের সৎ মা নয়ন বেগম বাদী হয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান মাসুম বিল্লাহ ওরফে লাদেন মাসুমহ (৩২) ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনের নামে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।  

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- লাদেন বাহিনীর সদস্য জসিম উদ্দিন (৩০), রিয়াজ হোসেন (৩২), কামরুন নাহার (৪২), ফরহাদ হোসেন (৩৫), আমির হোসেন সুমন (৩৫), মো. বাহার (৩৭), মো. রাব্বি (৩২), মো. কামাল হোসেন (৪২), মুরাদ হোসেন (৩২), সাদ্দাম হোসেন (২৯) ও ইউসুফ (১৮)৷ 

পরে দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা এজাহার নামীয় আসামি কামরুন নাহার ও মো. মুরাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। ওই তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এজাহার নামীয় আসামিসহ ১৭ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এছাড়া এজাহার নামীয় আসামি জসিম উদ্দিন ও ইউসুফের মৃত্যু হওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন করেন।  

আদালত ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও মামলা পর্যালোচনা করে দীর্ঘ ৭ বছর পর মামলার আসামিদের খালাস দেন।   

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।