ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ছাত্রী এলমা চৌধুরী ওরফে মেঘলার মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী কানাডা প্রবাসী ইফতেখার আবেদীনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে আদালতে দেওয়া চার্জশিট গৃহীত হয়েছে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর ছিদ্দিক এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার অভিযোগ থেকে ইফতেখারের বাবা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. আমিন ও মা শিরিন আমিনকে অব্যাহতি দেন আদালত।
এদিকে মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় পরবর্তী বিচারের জন্য বদলির আদেশ দিয়ে সিএমএম বরাবর নথি পাঠান বিচারক।
এর আগে গত ৩১ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) কাজী শরীফুল ইসলাম এই চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিট দাখিলের পর গত ৩০ জুন নারাজি আবেদন দাখিলে সময় চান মামলার বাদী ও নিহতের বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। তবে এদিন বাদীপক্ষ তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি নেই বলে আদালতকে জানালে তা গ্রহণ করে আদেশ দেন আদালত।
গত বছর ১৪ ডিসেম্বর বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসায় মারা যান এলমা। তার শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন সহপাঠীরা। তবে এলমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির মানুষের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এলমাকে প্রথমে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই এলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় এলমার স্বামী ইফতেখার আবেদীন, শ্বশুর অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল মো. আমিন ও শ্বাশুরি শিরিন আমিনকে আসামি করা হয়। এলমার স্বামী কানাডায় থাকতেন। ঘটনার কয়েক দিন আগে তিনি ঢাকায় আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২২
কেআই/এমজেএফ