ঢাকা: মালখানা ও থানায় থাকা জব্দ মালামাল কীভাবে ব্যবস্থাপনা এবং সংরক্ষণ করা হয় তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
ছয় মাসের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শককে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে মালখানা ও থানায় অনিরাপদভাবে থাকা জব্দ মালামাল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আইন সচিব, জন নিরাপত্তা বিভাগের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং ডিএমপি কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
আদেশের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন।
রিটের পর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকাসহ দেশের সব আদালত ও থানা এলাকায় জব্দ করা মালামাল বছর বছর পড়ে থাকতে দেখি। এসব মালামাল নিয়ে এমন অব্যবস্থাপনা সারা দুনিয়ার আর কোথাও আমরা দেখিনি। জব্দ করা মালামাল এভাবে বছর বছর পড়ে থাকার পরে সেটা রাষ্ট্রেরও কাজে লাগে না আর মালিকেরও কাজে লাগে না।
বিষয়টি দেখে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু নোটিশ পাওয়ার পরও তাদের কোনো জবাব আসেনি। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি।
রিটকারি পাঁচ আইনজীবী হলেন- মোহাম্মদ নোয়াব আলী, মো. মুজাহেদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না) ও ইমরুল কায়েস।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
ইএস/এএটি