সুনামগঞ্জ: ফেসবুকে ‘উসকানিমূলক পোস্ট’ দেওয়ার অভিযোগে ফের কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ঝুমন দাস আপনের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল আদালতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহানের কাছে ঝুমন দাসের পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।
সুনামগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক বোরহান উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, রোববার ঝুমনের পক্ষে তার আইনজীবী বিচারকের কাছে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।
ঝুমনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পঙ্কজ কুমার বলেন, আজ ঝুমনের জামিন আবেদন করি। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন। আমরা মামলার আগামী তারিখের আগেই উচ্চ আদালতে গিয়ে জামিন চাইব।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দিনভর শাল্লা থানা পুলিশ আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নিয়ে তাকে গ্রেফতার দেখায়। বুধবার (৩১ আগস্ট) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৮ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে ঝুমন দাস ফেসবুকে একটি আপত্তিকর পোস্ট দিয়েছেন- এমন খবরে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নোয়াগাঁও গ্রামের বাড়ি থেকে ঝুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করে গ্রেফতার দেখায়।
গত বছরের ১৬ মার্চ ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন ঝুমন দাস আপন। এদিন রাতেই ঝুমনকে আটক করে শাল্লা থানা পুলিশ। এর জের ধরে ১৭ মার্চ নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও পারিবারিক মন্দিরে হামলা চালানো হয়। পরে ১৭ মার্চ ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত সেদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ২২ মার্চ শাল্লা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। এই মামলায় ২৩ মার্চ ঝুমনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ৬ মাস পর উচ্চ আদালতের মাধ্যমে জামিনে বের হয়ে আসেন ঝুমন দাস আপন।
আরও পড়ুন:
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর কারাগারে ঝুমন দাস
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফের গ্রেফতার ঝুমন দাস
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২২
এসআই