ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গাইবান্ধায় শিশু হত্যা: ১ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, ২ জন খালাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
গাইবান্ধায় শিশু হত্যা:  ১ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, ২ জন খালাস

ঢাকা: এক যুগ আগে গাইবান্ধায় এক শিশুকে হত্যার ঘটনায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিল শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এএনএম বসির উল্লাহ ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও এ কে খান উজ্জল।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।  

তিনি জানান, তিন আসামির মধ্যে জাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পাভেল ও রুবেলকে খালাস দিয়েছেন।   

২০১০ সালের ২৭ জুলাই সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম রোমেলের ছেলে পাঁচ বছর বয়সি তাছিন মিয়া ওরফে অর্ণব পাশের পীরগাছা গ্রামের নানা নজরুল ইসলাম মধু মিয়ার বাড়ি বেড়াতে যায়।  

তাছিনের নানার সঙ্গে পূর্ব বিরোধের জেরে জাহিদ, পাভেল ও রুবেল ওই দিন তাছিনকে অপহরণ করে। ওই রাতেই তাছিনের মাকে ফোন করে জহিদ ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না পেয়ে তারা তাছিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ওই গ্রামের এক ব্যক্তির পুকুরের কচুরি পানার নিচে তাছিনের লাশ লুকিয়ে রাখেন তারা।

ঘটনার পরদিন ২৮ জুলাই তাছিনের বাবা সদর থানায় ১০ জনের নামে মামলা করেন। এ মামলায় ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রত্নেশ্বর ভট্টাচার্য। বাকি ৭ জনকে খালাস দেন।  

বিচারিক আদালতে দণ্ডিতরা হলেন, গাইবন্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের খামার পীরগাছা গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে জাহিদ, একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে পাভেল ও একই উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের সোনাইডাঙ্গা গ্রামের বিল্টু মিয়ার ছেলে রুবেল।

পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

শুনানি শেষে হাইকোর্ট জাহিদের দণ্ড বহাল রেখে বাকি দুইজনকে খালাস দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।