ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বগুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২২
বগুড়ায়  ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের যাবজ্জীবন আলাদতে আসামিরা।

বগুড়া: বগুড়ায় ২০০৩ সালে ইউপি নির্বাচনের পর বিজয়ী চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের হামলায় শাজাহান আলী নামে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে প্রত্যেকের ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

 

সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রশিদুল ইসলাম ওরফে রশিদ মৃধা, একই ইউনিয়নের মহিষবাথান গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে বিপ্লব মিয়া, আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার ছেলে রাসেল, মৃত বাচ্চু প্রামাণিকের ছেলে জুয়েল প্রামাণিক, দক্ষিণভাগ গ্রামের আলমগীর হোসেন আকন্দের দুই ছেলে যথাক্রমে সবুজ আকন্দ ও উজ্জ্বল আকন্দ, একই গ্রামের মাহতাব আকন্দের ছেলে আব্দুল মান্নান, রওশন আলী খন্দকারের ছেলে পিলু খন্দকার, মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে মোখলেছার রহমান মুকুল, কলিম উদ্দিন আকন্দের ছেলে আব্দুল হামিদ খোকা আকন্দ এবং মৃত আফাসার আলীর ছেলে জাহেদুর রহমান। ১১ আসামির মধ্যে বিপ্লব, রাসেল ও জুয়েল প্রামাণিক পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে শেখেরকোলা ইউপি নির্বাচনে বিএনপি নেতা রশিদ মৃধা হরিণ প্রতীকে এবং আব্দুস সাত্তার খা চেয়ার প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রশিদ মৃধা নির্বাচিত হন। তিনি পরের দিন মোটরসাইকেলযোগে বিভিন্ন এলাকায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বের হন। ওইদিন সন্ধ্যায় তারা দক্ষিণভাগ গ্রামে পৌঁছলে মামলার বাদী মাহমুদুর রহমানের ভাই শাজাহান আলী ও ওই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নানকে রাস্তায় দেখে তাঁর (রশিদ মৃধা) ভোট না করায় গালাগাল শুরু করেন। তারা এর প্রতিবাদ করলে রশিদ চেয়ারম্যান ও অন্য আসামিরা তাদের ওপরে হামলা চালায়। তাদের মারধরে শাজাহান ও মান্নান গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১৩ ফেব্রুয়ারি অবস্থায় শাজাহান আলী মারা যান।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অতিরিক্ত, পিপি) নাসিমুল করিম হলি জানান, মামলায় ওই ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। ১১ আসামির মধ্যে ৮ জন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রায়ে পলাতক ৩ আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২২
কেইউএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।