আসছে ঈদ আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। ঈদকে ঘিরে তাই উচ্ছাস থাকে অনেক।
রঙ, ডিজাইন, কাটিং প্রত্যেকটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। দেশীয় তাঁতের কাপড় নিয়ে অঞ্জন’স বেশি কাজ করে থাকে, এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। নরসিংদী, টাগাইল, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর তাঁতের কটন, সিল্ক, এন্ডি কটন, এন্ডি সিল্ক, হাফ সিল্ক, মসলিন কাপড় বেশি ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে কটন কাপড়ের ব্যবহার বেশি হয়েছে। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, জুয়েলারি, শিশু কিশোরদের পোশাকের বিশাল সম্ভার রয়েছে এবারের ঈদে।
পরিবারের একই রকম পোশাক আইডিয়া থেকে একই মোটিফ ও কাপড় দিয়ে বেশ কিছু ডিজাইন করা হয়েছে। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি ও শিশু কিশোরদের পোশাক করা হয়েছে এই গ্রুপ ডিজাইনে।
শাড়ি: রাজশাহী সিল্ক, কটন, এন্ডি সিল্ক, হাফ সিল্ক, মসলিন, তাঁত কটন সহ বিভিন্ন কাপড়ে স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক প্রিন্ট, এম্ব্রয়ডারি, কাথাঁ স্টিচ, বিভিন্ন ম্যাটারিয়াল এর কাজ করা হয়েছে। বেশি ভাগ শাড়িতে একাধিক মাধ্যমে কাজ করা হয়েছে। নিজস্ব বুনন ডিজাইনে তাঁতের শাড়ি করা হয়েছে। বয়স ও উৎসবকে মাথায় রেখে শাড়ি ডিজাইন বিন্যাস করা হয়েছে। শাড়ির মূল্যসীমা- সূতি (৭৫০-৪০০০), সিল্ক (১২০০-২৫০০০), মসলিন (৩৫০০-১২০০০), হাফ সিল্ক (২৫০০-৬০০০) টাকা।
সালোয়ার কামিজ: বেগুনী, মেজেন্টা, পিংক, বাদামী, লাল, সবুজসহ বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙের নরসিংদীর তাঁতের লিনেন কটন, কটন, মানিকগঞ্জে এন্ডি কটন, রাজশাহীর এন্ডি সিল্ক কাপড় বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। উৎসবকে মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে প্রত্যেকটি সালোয়ার কামিজ। গলায়, হাতায়, সালোয়ারের কাটিং এ বৈচিত্র্য এসেছে প্রতেকটি পোশাকে। এগুলোর দাম-কটন (২০০০-৫০০০), এন্ডি কটন ও এন্ডি সিল্ক (৪৫০০-৮০০০), সিল্ক (৮০০০-১০০০০) টাকা।
পাঞ্জাবি: কটন, এন্ডি কটন, এন্ডি সিল্ক, রাজশাহী সিল্ক, লিনেন কটন কাপড়ে পাঞ্জবি করা হয়েছে। ভিন্ন মাত্রার কাপড়ের পাশাপাশি ডিজাইনেও নতুনত্ব এসেছে। পাঞ্জবির ডিজাইনে মানিকগঞ্জের ভরাট, জামালপুরের কাথাঁ স্টিচ ও এম্ব্রয়ডারির প্রাধান্য বেশি। মূল্যসীমা- পাঞ্জাবি (৭৫০-২০০০), এন্ডি কটন ও সিল্ক (২০০০-৫০০০) টাকা।
ফতুয়া: এবারের ঈদ আয়োজনে মেয়েদের বিভিন্ন কাটিং বেজ্ড ডিজাইনে লং ও শর্ট ফতুয়া করা হয়েছে। ব্লক প্রিন্ট ও এম্ব্রয়ডারির কাজের মেয়েদের ফতুয়াগুলোর মূল্য- (১০৫০-২৫০০) টাকা। ছেলেদের ফতুয়ার মূল্য-(৬৫০-১৫০০) টাকা।
জুয়েলারি: মেটাল, সিলভার, উডসহ বিভিন্ন ম্যাটারিয়াল দিয়ে তৈরি হয়েছে হ্যান্ড মেইড জুয়েলারি। পোশাকের সঙ্গে মানানসই চুড়ি, আংটি, নেকলেস, চেইন, ব্রেসলেটসহ বিভিন্ন জুয়েলারি পাওয়া যাবে সাধ্যের মধ্যেই।
শিশু কিশোরদের পোশাক: শিশু কিশোরদের ডিজাইনে ও বড়দের পোশাকের মতো গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট ও সালোয়ার কামিজ পাওয়া যাবে।