আমরা নিশ্চয় ভুলে যাইনি সেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকা রুমানা মঞ্জুরের কথা। যার ওপর নারকীয় নির্যাতন চালিয়েছিল তার স্বামী।
তিনি জীবন যুদ্ধে থেমে যাননি। কানাডায় তার স্নাতকোত্তর শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন। তবে এখানেই থামবেন না বলে জানিয়েছেন রুমানা। তিনি দেশে ফিরতে চান। দাঁড়াতে চান সহিংসতা ও নিষ্পেষণের শিকার নারীদের পাশে। সহায়তা করতে চান সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার নারীদের।
রুমানা বলেন, আমি নিজেকে বোঝালাম। কিছুই বদলে যায় নি। কান্না কোনো দিন কোনো কিছু পরিবর্তন করে দিতে পারে না। তাই তোমাকে সামনে এগোতে হলে নিজেকে নিজের আসনে বসাতে হবে। সেই থেকে আমার নতুন যাত্রা শুরু। ফিরে পেতে চাইলাম আমার মুখের হাসি। আমি কখনও ভাবিনি আজকের এই দিনটি আমার সামনে ফিরে আসবে। আগামী সেপ্টেম্বরে তিনি ইউনিভার্সিটি অব বৃটিশ কলাম্বিয়ায় আইন নিয়ে পড়াশোনা করবেন। সিএনআইবি থেকে তিনি সহায়তা পেয়েছেন কীভাবে নিজের বাড়ি চিনতে হবে। সম্প্রতি তিনি নিয়েছেন অ্যাক্রোবেটিক যোগ ব্যায়ামের প্রশিক্ষণ। তিনি সফটওয়্যারের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এখন অন্ধদের পড়ালেখার কৌশল ব্রেইল পদ্ধতি শিখছেন।
রুমানা যা বলেন তা তার অনুসারী শিক্ষার্থীরা টেক্সট বইয়ে রেকর্ড করে, টাইপ করতে সহায়তা করে, সম্পাদনা করতে সহায়তা করে। রুমানা বলেছেন, তিনি বাংলাদেশে ফিরতে চান। তবে খুব শিগগিরই নয়। বর্তমানে তিনি, তার মেয়ে আনুশেহ ও পিতামাতা কানাডার স্থায়ী অধিবাসী। রুমানার এখন চেহারায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। তার তুলে নেয়া চোখে বসানো হয়েছে দু’টি কৃত্রিম চোখ। তা দিয়ে তিনি দেখতে পান না। তবে তা তাকে দিয়েছে এক স্বাভাবিক চেহারা। এ জন্য কেউ তার দিকে তাকালে তাকে অন্ধ বলে মনে হবে না। তার হাতে রয়েছে এমন একটি ঘড়ি যা তাকে সময় বলে দেয়।
কৃতজ্ঞতা হাকিকুল ইসলাম, সিবিসি নিউজ