এতো কিছুর পরও নিজেদের চলতে হচ্ছে করোনার ভয়বহতা মোকাবিলা সঙ্গে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই। আর তাই করোনার ভয়ে সচেতন মানুষ এখন চিন্তিত রোগ প্রতিরোধ নিয়ে।
করোনা ঠেকাতে আমাদের শরীরের প্রয়োজন জিঙ্ক, কারণ জিঙ্ক (দস্তা) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর খাবারের মাধ্যমেই যদি সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় তবে এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে!
‘আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ’-এর গাইডলাইন অনুযায়ী ১৪ বছরের বেশি বয়সি ছেলে ও গর্ভবতী নারীর দিনে প্রয়োজন হয় ১১ মিগ্রা জিঙ্ক, মেয়েদের ৮ মিগ্রা ও স্তনপান করানো মায়েদের দরকার ১২ মিগ্রা। কিন্তু হিসেব বলে, এটুকু চাহিদাও পূরণ হয় না সারা পৃথিবীর প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষেরও।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, জিঙ্কের অভাবে কোষের কার্যকারিতা কমে, প্রোটিন তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে সহজেই আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ।
জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করতে যে খাবারগুলো নিয়মিত খেতে পারেন:
• মুরগির মাংস খেতে পারেন এটি জিঙ্ক সমৃদ্ধ
• ৮৫ গ্রাম চিকেনে থাকে ২.৪ মিগ্রা জিঙ্ক
• ১০০ খাশির মাংসে প্রায় ৪.৮ মিগ্রা জিঙ্ক রয়েছে
• চিংড়িতেও আছে প্রচুর জিঙ্ক
• সব ধরনের ডাল, বিন, মটরশুঁটি খান নিয়মিত
• ৫০ গ্রাম মুসুর ডাল খেলে ২.৪ মিগ্রা জিঙ্ক পাবেন
• আর ৮০ গ্রাম ছোলায় ১.২৫ মিগ্রা
• আধবাটি ওটস থেকে ১.৩ মিগ্রা
• লাল চাল বা আটার রুটি জিঙ্কের বড় উৎস
• পছন্দের বাদাম খান, কাজু, আমন্ড ও অন্যান্য বাদামেও প্রচুর জিঙ্ক থাকে
• খেতে পারেন মাশরুম, ২১০ গ্রামে ১.২ মিগ্রা জিঙ্ক পেয়ে যাবেন
• জিঙ্ক সমৃদ্ধ পালংশাক, ব্রকোলি ও রসুনও খেতে পারেন নিয়মিত।
এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রতিদিন একটি করে জিঙ্ক ট্যাবলেটও খেতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
এসআইএস