মহামারি করোনার সময়ে সবাই আতঙ্কে এর মধ্যেই বেড়েছে মশার উপদ্রব। আর মশার কামড়ে দেখা দিচ্ছে আরেক ভয়াবহ রোগ ডেঙ্গু।
যেন নতুন কারো ডেঙ্গু রোগ না হয়। অর্থ্যাৎ সবাই মিলে মশা মারতে হবে। মশা যাতে জন্মাতে না পারে সেজন্য প্রজনন স্থল ধ্বংস করতে হবে। মশা যাতে কামড়াতে না পারে সেদিকে সর্বোচ্চ নজর দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণত ডেঙ্গু হলে সাধারণ জ্বরের চেয়ে বেশি সাবধানতা প্রয়োজন।
ডেঙ্গুও করোনার মতোই ভাইরাসজনিত জ্বর। অন্য সব জ্বর, যেমন টাইফয়েড, সাধারণ জ্বরের সঙ্গে ডেঙ্গু জ্বরের মূল পার্থক্য হলো প্রথম দিন থেকেই জ্বর অনেক বেশি থাকে(১০২-১০৩ ডিগ্রি)। জ্বরের সঙ্গে মাংসপেশি ব্যথা, শরীরের গিঁটে ব্যথা, চোখের পেছনে ও মাথায় ব্যথা, প্রচ- শারীরিক অবসাদ, বমি আর শরীরের কিছু অংশে, বিশেষত চামড়ার নিচে রক্ত জমাট বাঁধা- এ লক্ষণগুলো দেখা যায়।
ডেঙ্গু জীবাণুবাহী মশা কামড়ানোর পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে সাধারণত রোগের উপসর্গ দেখা যায়। কিছু কিছু ডেঙ্গু রোগী কোনো উপসর্গ ছাড়া সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে।
বেশিরভাগ ডেঙ্গু জ্বরই সাত দিনের মধ্যে সেরে যায় এবং অধিকাংশই ভয়াবহ নয়। প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান, বিশ্রাম ও প্রচুর পরিমাণ তরল খাবার গ্রহণ করা। শরীরে হাড়ভাঙা বেদনা নিয়ে এ জ্বর হয়। এ কারণে এ জ্বরের নাম হয়েছে ডেঙ্গু জ্বর।
ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার বিস্তার রোধে যা করতে হবে
যেসব স্থানে মশা জন্ম নেয়, যেমন বাড়ির ছাদ, ফুলের টব, নালা, পানির ট্যাপের আশপাশের এলাকা, পানির পাম্প, ফ্রিজ বা এসির পানি জমার স্থান, পানির বদনা, বালতি, হাইকমোড, আইসক্রিম বক্স, প্লাস্টিক বক্স, ডাবের খোসা, টায়ার ইত্যাদি সেসব জায়গা চিহ্নিত করে একদিন পরপর পরিষ্কার করতে হবে।
এছাড়া মশারি টানিয়ে ঘুমানো উচিত।
করোনাকালে ডেঙ্গুজ্বর সম্পর্কে আরো বেশি জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, এডিস মশাকে কোনোভাবেই আবাস গাড়তে না দেওয়া।
ডেঙ্গু জ্বরে যে উপসর্গগুলো দেখা দিলে অবহেলা না করে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২১
এসআইএস