ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লন্ডন

অ্যাডভেঞ্চার আমাজন-৬

জল্লাদ নয়, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে পিঁপড়া!

সৈয়দ আনাস পাশা, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৬
জল্লাদ নয়, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে পিঁপড়া! ছবি: মাহাথির পাশা ও নাহিয়ান পাশা/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

** অ্যাডভেঞ্চার আমাজন-১: পৃথিবীর ফুসফুসে এক স্রোতে দুই নদী, পানির রং ভিন্ন
** অ্যাডভেঞ্চার আমাজন-২: জাগুয়ার ও বিষাক্ত সাপের আতঙ্ক নিয়ে জঙ্গলে

** অ্যাডভেঞ্চার আমাজন-৩: কুমিরের আলোর চোখ, কাঁধে চড়লো অজগর!

** অ্যাডভেঞ্চার আমাজন-৪: আলসে শ্লথের দেখা, ছিপে ভয়ংকর পিরানহা শিকার
** অ্যাডভেঞ্চার আমাজন-৫: আমাজনের আদিমানবের আতিথেয়তায়


পূর্ব প্রকাশের পর
আমাজন রেনইনফরেস্ট, ব্রাজিল থেকে:
আমাজনের ভয়ঙ্কর ১৫ প্রাণীর কথা বলতে গিয়ে প্রাণী বিজ্ঞানী মারকো জে লিমা পিঁপড়া প্রজাতির সদস্য বুলেট অ্যান্ট নামের একটি পিঁপড়ার গল্প করেন।

গল্পটা এরকম, পর্তুগিজরা যখন প্রথম ব্রাজিলের আমাজন অঞ্চলে আসা শুরু করলো তখন প্রায়ই স্থানীয় অধিবাসীদের আক্রমণের শিকার হতে হতো তাদের।

স্থানীয়রা যখন পর্তুগিজদের হত্যার সিদ্ধান্ত নিতো, তখন জঙ্গলে একটি গাছের মধ্যে শক্ত করে বেঁধে রাখতো। এই বাঁধা অবস্থায়ই বুলেট অ্যান্ট নামের এ পিঁপড়া কামড়াতে শুরু করতো বন্দি লোকটিকে। কামড় সহ্য করতে না পেরে বন্দি যত বেশি নড়াচড়া করতো তত বেশি কামড়াতো পিঁপড়ারা।

পিঁপড়ার কামড়ে কামড়ে রক্তাক্ত হয়ে এক পর্যায়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তো বন্দি লোকটি। কামড় বুলেটের চেয়েও কষ্টকর হওয়ায় এদের নাম দেয়া হয়েছে বুলেট অ্যান্ট।

গাছের গুঁড়িতে গর্ত করে দলবদ্ধভাবে বসবাস করে এই পিঁপড়া। তাদের বাসা আছে এমন গাছ ধরে নাড়া দিলেই দলে দলে বেরিয়ে আসে। একটি গাছের গুঁড়িতে এমন একটি গর্ত দেখতে পেয়ে মারকো ও পিউপিউ গাছটিকে ধরে অনেক নড়াচড়া করেন যাতে বুলেট অ্যান্ট বেড়িয়ে আসে। কিন্তু বৃষ্টিভেজা মাটি হওয়ায় তখন ওদের কেউ আর বেরিয়ে আসেনি। সুতরাং ছবি দেখিয়েই মারকো গল্প বললেন জল্লাদ বুলেট অ্যান্টের।

বুলেট অ্যান্টের অবস্থান আমাজনের ১৫ ভয়ঙ্কর প্রাণীর ১৩তম স্থানে। ১৫টির বাকিগুলো হলো- যথাক্রমে গ্রিন অ্যানাকোন্ডা বা অজগর, কুমির প্রজাতির ব্লাক কেইমান, মাছ প্রজাতির ইলেক্ট্রিক ইল, বাঘ প্রজাতির জাগুয়ার, মাছ প্রজাতির লাল পেটের পিরানহা, বিষাক্ত ব্যাঙ, বুল শার্ক, সাপ পিট ভাইপার্স, পিঁপড়া প্রজাতির এসাসিন বাগ, পাখি প্রজাতির হারপি ঈগল, মাকড় প্রজাতির ব্রাজিলিয়ার ওয়ানডারিং স্পাইডার, আমাজনিয়ান জায়ান্ট সেন্টিপিড, সাপ প্রজাতির ট্রি বোজ ও কমন ভাম্পায়ার ব্যাট।

মারকো বলেন, এই সবগুলো প্রাণীই বিপদজনক। এরপরও প্রতিটি প্রাণীই পরিবেশের জন্য প্রয়োজনীয়, মানুষের জন্য উপকারী।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৬
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

লন্ডন এর সর্বশেষ