ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

কবিতাকে চিফ হুইপের অভিনন্দন, পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২২
কবিতাকে চিফ হুইপের অভিনন্দন, পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান ছবি: বাংলানিউজ

মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার শিবচরে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত হতদরিদ্র কবিতাদের বাড়িতে মিষ্টি পাঠিয়েছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি।

নানা প্রতিকূলতার মাঝেও সর্বোচ্চ ভালো ফলাফল করায় কবিতাকে অভিনন্দন জানিয়ে নির্বিঘ্নে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তিনি।

তার আশ্বাসে কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে কবিতা ও তার পরিবারের।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের চিফ হুইপের পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি দল কবিতার বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে যান। পরে দুপুরের দিকে কবিতার পরিবারকে ঘর নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে ৫ বান্ডিল টিন ও নগদ ১৫ হাজার টাকা দেয়া হয়। এদিকে চিফ হুইপের নির্দেশনায় কবিতাকে মাসিক বৃত্তি ও সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী।

এর আগে ‘ভালো কলেজে পড়তে চায় কবিতা, সামর্থ্য নেই বাবার’ শিরোনামে বাংলানিউজ এবং অন্যান্য গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।

লেখাপড়ার প্রতি অদম্য ইচ্ছা দেখে মা-বাবা আর্থিক অনটনের মধ্যেও মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে যান। ভালো ছাত্রী হওয়ায় স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতা পেয়েছে সে। কিন্তু গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েও দারিদ্রতার কারণে কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে ছিল চরম অনিশ্চয়তা।

দারিদ্রতাকে পেছনে ফেলে কবিতার বিরল অর্জনের খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বৃহস্পতিবার সকালে তার বাড়িতে মিষ্টি দিয়ে একটি প্রতিনিধি দল পাঠান। পরে চিফ হুইপ কবিতার সাথে ফোনে কথা বলে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী মুঠোফোনে জানান, ‘মেয়েটির মা-বাবা অনেক কষ্ট করে ওকে পড়িয়েছে। সেও ভাল ফলাফল অর্জন করেছে। আমাদের সবারই উচিৎ তাদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের ঘরের জন্য টিন ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদ থেকে সেলাই মেশিন ও বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ওর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করা হবে। সামর্থ্যবানেরা মেধাবীদের পাশে দাঁড়ালে এই মেধাবীরা এক সময় দেশের কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারবে’।

কবিতা বলেন, ‘ভাল রেজাল্ট করেও কলেজে ভর্তি হতে পারবো কিনা জানতাম না। আমাদের চিফ হুইপ লিটন চৌধুরী স্যার ফোনে আমাকে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে বলেছেন। ঘর ঠিক করার ব্যবস্থা করেছেন’।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আ. লতিফ মোল্লা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিবুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আ. লতিফ মুন্সী, প্রেস ক্লাব সভাপতি একেএম নাসিরুল হক, জেলা পরিষদ সদস্য আয়শা সিদ্দিকা মুন্নী, ইউপি চেয়ারম্যান মো. জামান মুন্সী ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুৎ সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২২
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।