সাভার (ঢাকা): ঢাকার ধামরাইয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মো. সেলিম নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা মামলায় আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন মূল আসামি দ্বীন ইসলাম (৪০)।
শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা জেলা কার্যালয়।
এর আগে, বুধবার (৩০ নভেম্বর) গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার মাওনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার দ্বীন ইসলাম বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) বিজ্ঞ আদালতে হত্যার দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে বলে জানায় পিবিআই।
আসামি দ্বীন ইসলাম (৪০) ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের বড়কৈ গ্রামের আ. সাত্তারের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে সেলিম তালুকদারের সঙ্গে প্রতিপক্ষ আ. সাত্তারের বিরোধ চলছিল। গত ২১ অক্টোবর সকালে প্রতিপক্ষ লিটন সেই জমিতে মাটি কাটতে গেলে সেলিমের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আ. সাত্তার ও তার ছেলে জাহিদ, দ্বীন ইসলাম, জহুরুল, লিটন বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র এবং চাপাতি দিয়ে আঘাত করলে সেলিম গুরুতর আহত হন। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন শরীফ ও শাহিন।
পরে তাদের উদ্ধার করে সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সেলিমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত সেলিমের পিতা আ. কাদের ১৮ জনকে আসামি করে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৩৩।
এদিকে, আলোচিত মামলা হওয়ায় পিবিআই ঢাকা জেলা নিজ উদ্যোগে গত ৩০ নভেম্বর মামলাটির তদন্তভার নিয়ে এসআই সালেহ ইমরানকে এর তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এসআই সালেহ ইমরান বলেন, সেলিম হত্যার ঘটনায় ১৮ জনকে আসামি করা হলেও গ্রেফতার দ্বীন ইসলামের আঘাতেই সেলিমের মৃত্যু হয়। তাই এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা খুবই জরুরী ছিল। কারণ, ঘটনার পর থেকেই দ্বীন ইসলাম পলাতক ছিল। গ্রেফতারের পর আসামি দ্বীন ইসলাম আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
মামলায় পলাতক অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত বলেও জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২২
এসএফ/এনএস