ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বকেয়া পরিশোধ না করে ৪ পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২২
বকেয়া পরিশোধ না করে ৪ পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা ছবি: বাংলানিউজ

সাভার (ঢাকা): ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার ডার্ড গ্রুপের মোট ৪টি কারখানা মালামাল স্বল্পতাসহ নানা কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে কারখানাগুলোর সামনে বন্ধের নোটিশ টানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

কারখানাগুলো হলো- দীপ্ত এপারেলস লিমিটেড, দীপ্ত গার্মেন্টস লিমিটেড, ডার্ড গার্মেন্টস লিমিটেড ও ডার্ড ওয়াশিং প্লান্ট লিমিটেড।

বন্ধ ঘোষিত কারখানাগুলোর নাম উল্লেখ করে কোম্পানির উপ- মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও কারণবশত কারখানার উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করছে। যা শনিবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে। কারখানা খোলার তারিখ পরবর্তীতে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।

শ্রমিকরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বকেয়া বেতন, করোনার সময়ের কিছু পাওনা, ছুটির টাকাসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছিল। এছাড়া কিছুদিন আগে প্রতিষ্ঠানটির স্টাফদের (সাধারণ শ্রমিকদের তুলনায় কিছুটা উচ্চ পদে কর্মরত কর্মী)  দুই মাসের বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে কর্মবিরতি পালনের পর কর্তৃপক্ষ এক মাসের বকেয়া পরিশোধ করে। বাকি দাবিগুলোর বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত শুক্রবার দীপ্ত এপারেলস লিমিটেডের ওইসব কর্মীরা আবারও মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে শুক্রবার রাত ১২টার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক কর্মীর মোবইলে মেসেজ পাঠিয়ে কারখানাগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে, এবং সকালে কারখানার গেটে বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দেওয়া হয়। সকালে কারখানাগুলোর কর্মীরা কাজে যোগ দিতে এসে কারখানার গেটে বন্ধের নোটিশ দেখতে পায়, পরে বেশ কিচ্ছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারা নিজ নিজ বাসায় ফিরে যায়।

ডার্ড গ্রুপের সাভার জোনের সিকিউরিটি ইন্সপেক্টর মো. আসাদ বলেন, ৪টি কারখানার মধ্যে শুধু দীপ্ত এপারেলস লিমিটেডেই প্রায় ৭ হাজার কর্মী রয়েছে, বাকি ৩টি কারখানায় সব মিলিয়ে শ্রমিক সংখ্যা ৩ হাজারের মতো। সবমিলিয়ে ৪টি কারখানায় মোট ১০ হাজারের মতো কর্মী রয়েছে৷

দীপ্ত এপারেলস লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. মামুন বলেন, মালামাল স্বল্পতা, কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিসহ কয়েকটি কারনে কারখানাগুলোতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এবিষয়ে এর বেশি কিছু আর আমি বলতে পারছি না।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্মীদের বকেয়া পরিশোধ করতে পারছে না, এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, তারা কর্মবিরতিও পালন করেছে। এ কারণে কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে। কারখানা বন্ধ ঘোষণা নিয়ে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়টি লক্ষ্য করে কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২২
এসএফ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।