ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘জাতিসত্তা-বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে বাংলা একাডেমি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২২
‘জাতিসত্তা-বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে বাংলা একাডেমি’ বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমন্ত্রিত অতিথিরা। ছবি: হোসাইন মোহাম্মদ সাগর

ঢাকা: সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাংলা একাডেমি প্রকৃত অর্থেই বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও বাঙালি সংস্কৃতির লালন ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।

বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা পরিণত হয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘ সময়ব্যাপ্ত বইমেলাতে, যা আমাদের সবার জন্য গর্ব ও অহংকারের বিষয়।

বুধবার ( ৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত একাডেমির ভাষাশহিদ মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।  

গত ৩ ডিসেম্বর ছিল বাংলা একাডেমির ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বাংলা একাডেমির সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত ও প্রত্যাশা শীর্ষক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বক্তৃতা ২০২২ প্রদান করেন কথাসাহিত্যিক, গবেষক ও অনুবাদক সুব্রত বড়ুয়া।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে।  

সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম. লোকমান।

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বাংলা একাডেমি সাম্প্রতিক সময়ে ঐতিহ্যের অঙ্গীকারকে ধারণ করে আধুনিকতার পথে নবযাত্রা শুরু করেছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি গবেষণা-ক্ষেত্রে একাডেমি যুগান্তকারী কিছু কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। বাংলা একাডেমি একটি স্বপ্নের নাম। সবার সহযোগিতায় আমরা নিশ্চিতভাবে বাংলা একাডেমিকে বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের স্বপ্নকল্পনার এবং প্রত্যাশিত বাস্তবতায় দেখতে পাবো।

সুব্রত বড়ুয়া বলেন, বাংলা একাডেমির কাজ ও ভূমিকার প্রাণশক্তি হচ্ছে এর সৃষ্টির ঐতিহাসিক প্রেরণা। বাংলা ভাষার প্রচার, প্রসার ও উন্নয়ন যে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য সে প্রতিষ্ঠান নিয়ত সচল ও বিকিরণমুখী হওয়ার জন্য অবিরাম চেষ্টা করে যাবে। সেজন্যই একাডেমিকে সচেষ্ট থাকতে হবে দেশের ও বৈশ্বিক জ্ঞানচর্চা ও চিন্তচর্চার শরিক হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে। বাংলা একাডেমি বস্তুত কোনো জড়সত্তা নয়, কারণ এর অন্তরে আছে একটি সজীব প্রাণসত্তা। বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, জনজীবন, সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রাণপ্রবাহ এই প্রাণসত্তার উৎস।

অসীম কুমার দে বলেন, বাংলা একাডেমি মুক্তিযুদ্ধজাত বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রত্যয়কে ধারণ করে বাংলা ও বাঙালির প্রাণের প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে।

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, প্রায় সাত দশকের পরিক্রমায় বাংলা একাডেমি আজ এক আলোক-বৃক্ষের নাম। আমরা বাঙালির এই প্রাণের প্রতিষ্ঠানকে জাতির মনন-আকাক্সক্ষার উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যতদিন বাংলাদেশ স্থিত থাকবে, ততোদিনই বাংলা একাডেমি তার প্রকৃত মহিমায় উজ্জ্বল থাকবে।

এ. এইচ. এম. লোকমান বলেন, বাংলা একাডেমি বাঙালি চেতনার অনিঃশেষ বাতিঘর।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২২
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।