ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সংস্কৃতি বিকাশেও কাজ করছি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২২
সংস্কৃতি বিকাশেও কাজ করছি

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,  ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এ শিল্পকলা একাডেমি যেন আরও সুন্দরভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে সেজন্য আমরা মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণ করেছিলাম। শিল্পকলা একাডেমিকে নতুন করে সাজানো ও নির্মাণসহ আমরা উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত নিয়েছি।

আমরা আমাদের সংস্কৃতি চর্চার সেবাটা একদম তৃণমূল মানুষের কাছে নিয়ে যেতে চাই। একদিকে যেমন তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করছি ঠিক তেমনি যেন তাদের শিল্পী মন এবং সংস্কৃতির বিকাশ হয় সেটির জন্যও আমরা কাজ করছি।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মাসব্যাপী ‘১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০২২’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের একদম গ্রাম পর্যায়ে যেসব শিল্পীরা রয়েছে তারাও যেন তাদের মেধা ও মনন সবার সামনে তুলে ধরতে পারে আমরা সে পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমাদের শিল্প, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের যে সৃজনশীলতা; সেগুলো প্রকাশের ক্ষেত্রে সব সময় আমাদের সরকার উৎসাহ দিয়েছে এবং সহযোগিতা করেছে। আর তা এখনো করে যাচ্ছে।  

গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় সংস্কৃতিমনা ছিলেন এবং বাংলাদেশকে তিনি একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছেন। সংস্কৃতির চর্চা যেন একদম গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত পৌঁছে যায়, দেশের মানুষের মধ্যে যেন একটি স্বতঃস্ফূর্ত সংস্কৃতির মনন বিকশিত হতে পারে, তাদের জ্ঞান-বুদ্ধির চর্চা যেন আরো উন্নত হতে পারে সেই কাজগুলি তিনি করে গেছেন। তিনি সবসময় এ দেশের কবি শিল্পী সাহিত্যিকদের পাশে থাকতেন এবং উৎসাহ দিতেন। তাদের কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে নতুন নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করতেন। আমরাও সেই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় আর্ট গ্যালারিতে ৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ ১১৪টি দেশের প্রায় ৪৯৩ জন শিল্পীর মোট ৬৪৯টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হবে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্টপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠেয় এ প্রদর্শনীতে ছয়জন শিল্পীকে সম্মানসূচক পুরস্কার এবং অন্য তিনজনকে গ্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের জুরি বোর্ডের সভাপতি শিল্পী রফিকুন নবী পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে গ্র্যান্ড পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের শিল্পী সুশান্ত কুমার অধিকারী এবং ইয়াসমিন জাহান নুপুর।  

এছাড়া নেদারল্যান্ডের শিল্পী হ্যারল্ড স্কোলে এ পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়া সম্মানসূচক পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের শিল্পী ফারিহা জেবা, জয়তু চাকমা, মামুর আহসান মাহতাব, ময়নুল ইসলাম পল, সুমন চন্দ্র দাস এবং পর্তুগালের শিল্পী সিলভিয়া মালহাডো।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

কে এম খালিদ উদ্বোধনী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো. আবুল মনসুর, জুরি বোর্ডের সদস্য এবং বিশিষ্ট পোলিশ শিল্প সমালোচক জারোস্লা সুচান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং ‘১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০২২’ এর প্রধান সমন্বয়কারী লিয়াকত আলী লাকী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২২
এইচএমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।