ঢাকা, রবিবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ জুন ২০২৪, ১৫ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

এমপির বাবাকে প্রধান অতিথি করায় অসন্তোষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২২
এমপির বাবাকে প্রধান অতিথি করায় অসন্তোষ

কুমিল্লা: মহান বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বিধি বহির্ভূতভাবে প্রধান অতিথি করার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার দেবিদ্বারে।  

উপজেলা চেয়ারম্যানের আপত্তির পরও স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাবাকে প্রধান অতিথি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

এ ঘটনায় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে অসন্তোষ দেখা গেছে।

সূত্র জানায়, দেবিদ্বারে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবিএম গোলাম মোস্তফা স্টেডিয়া আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের (১৬ ডিসেম্বর) প্রথম প্রহরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল কুমিল্লা-৪ দেবিদ্বার নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের।  

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ।  

কিন্তু এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল থাইল্যান্ডে অবস্থান করায় তার বাবা সাবেক উপমন্ত্রী  এএফএম ফখরুল মুন্সীকে প্রধান অতিথি হিসেবে ঘোষণা করেন ইউএনও। ওই ঘোষণার আপত্তি জানান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।  

এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, নিয়ম বলছে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে এমপির অনুপস্থিতিতে উপজেলা চেয়ারম্যানই হবেন প্রধান অতিথি। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপস্থিত থাকা অবস্থায় জনগণের প্রতিনিধি নয়, এমন কাউকে প্রধান অতিথি করার সুযোগ নেই। এখানে এমপির অনুপস্থিতিতে এমপির বাবা প্রধান অতিথি হতে পারেন না। এটা নিয়ম বহির্ভূত।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জবাবে বলেন, তিনি সাবেক উপমন্ত্রী এবং এমপি। সে হিসেবে তিনিই হবেন প্রধান অতিথি।  

এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সীকে প্রধান অতিথি করেই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।  

এ ব্যাপারে দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিউদ্দিন শফি বলেন, বিজয় দিবসের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এমপির অনুপস্থিতিতে এমপির বাবাকে প্রধান অতিথি করে ইউএনও নিয়ম বহির্ভূত কাজ করেছেন, যার কারণে জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

একাধিকবার কল করেও এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেইজি চক্রবর্তীর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, এমন একটি কথা শোনার পর আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানে কাউকে প্রধান অতিথি করা হয়নি। তারপরও উপজেলা চেয়ারম্যান যদি মনে করেন তার অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে, লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ রোশন আলী মাস্টার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ওমানী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাজমা বেগম, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিউদ্দিন সফি, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য শিরিন সুলতানা ও বাবুল হোসেন রাজুসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।  

বাংলাদেশ সময়ঃ ১৯০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২২
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।