ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ধলেশ্বরী টোলপ্লাজার সামনের গেট খুলে দেওয়ার দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
ধলেশ্বরী টোলপ্লাজার সামনের গেট খুলে দেওয়ার দাবি

মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার শেষ সীমান্তে বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের (ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে) ধলেশ্বরী টোল প্লাজা এলাকায় সড়কে যাতায়াতের জন্য সেতুর দুই পাশের গেট খুলে দেওয়া দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় জনসাধারণ, হকার ও দোকানদাররা।

 রোববার (১৮ডিসেম্বর)  দুপুরে বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের টোল প্লাজার সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়ে।

এতে শতাধিক হকার ও দোকানদার অংশ নেন।
তাদের দাবি দীর্ঘদিন ধরে ধলেশ্বরী টোল প্লাজা এলাকায় তারা হকারি করে সংসার চালাচ্ছেন। সেতু হওয়ার আগেও তাদের বাপ-দাদারা এখানে দোকানদারি করতেন। সম্প্রতি সেতুর দুই পাশে রড দিয়ে মহাসড়কে ওঠার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় সেখান দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতে পারছে না। ফলে অনেকের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি মহাসড়কের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী। তাই অবিলম্বে মহাসড়কে ওঠার ব্যবস্থা না করলে তাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া তাদের উপায় থাকবে না।

মো. সাইফুল ইসলাম নামে এক প্রতিবন্ধী হকার জানান, তিনি ভিক্ষা না করে টোলপ্লাজা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে হকারি করে সংসার চালাতেন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় তাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। রড দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। টোলপ্লাজায় ঢুকতে না পারলে পরিবার নিয়ে পথে বসে যেতে হবে।
কাউছার নামে আরেক হকার জানান, তারা কাজ করে খেতে চান, সে জন্য তাদের টোল প্লাজায় ঢোকার সুযোগ করে দিতে হবে। দীর্ঘপথ অতিক্রম করে যাত্রীরা ক্ষুধার্ত হয়ে যান, টোলপ্লাজায় এলে তারা কিছু বাদাম, বুট, শসা, পেয়ারা কিনে খায়। এতে যাত্রীরা যেমন খুশি, আমরাও পরিবার নিয়ে বাঁচি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিন জানান, এখানকার হকাররা সবাই স্থানীয় এবং এটা তাদের বাপ-দাদার পেশা। হকারি করে তারা পরিবার নিয়ে কোনমতে খেয়েপরে বেঁচে আছে। টোল প্লাজায় ঢুকতে না পারলে আয় রোজগার বন্ধ হয়ে তারা পথে বসে যাবে। আমাদের দাবি যে কোনো শর্তে টোলপ্লাজায় ঢোকার জন্য দুটি পকেট গেট করে দেওয়া হোক।

এদিকে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মহাসড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।