ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘২০২২ সালে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা কমেছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
‘২০২২ সালে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা কমেছে’

ঢাকা: বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০২২ সালে দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা কমেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব বলেন, গত বছরের ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশের সামগ্রিক সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়, যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে কিছু প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেদনে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা প্রতিরোধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রশাসন, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দৃঢ় ভূমিকার কথা পেশ করা হয়। এতে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয় যে, বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশে শুধুমাত্র সরকার ও প্রশাসনের সদিচ্ছার কারণে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা অনেক কমেছে।

তিনি আরও বলেন, ভুলবশত প্রতিবেদনের শুরুতে বাংলাদেশে ২০২২ সালে ১৫৪ জন সংখ্যালঘুকে হত্যা করা হয় মর্মে উদ্ধৃত করা হয়। মূলত আমরা বলতে চেয়েছি ২০২২ সালে বিভিন্ন কারণে ১৫৪ জন সংখ্যালঘু নিহত হয়েছিলেন। নিহতের ঘটনার সবগুলো সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।

এগুলোর মধ্যে বেশকিছু জমির বিরোধ, অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব, পূর্ব শত্রুতার, স্থানীয় দ্বন্দ্ব ও কলহ, রাজনৈতিক সংঘাত এবং দৈনন্দিন জীবনের ঘটনার কারণে সংঘটিত হয়। অনিচ্ছাকৃত ভুল ও তৎপরবর্তী বিশদ বিবরণের অভাবে খুব সহজে ১৫৪ জন নিহতের বিষয়টি অতি সরলীকরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি অতিরঞ্জিত করে প্রচার করা হয়েছে। এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

লিখিত বক্তব্যে মহাসচিব বলেন, আমাদের আগের সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পাশাপাশি হত্যার হুমকি, হত্যা-চেষ্টা, চাঁদাবাজি, বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, উচ্ছেদ, অপহরণ, ধর্ষণ, চাকরিচ্যুতি এবং জেল জরিমানাসহ যে বিষয়গুলো প্রতিবেদন আকারে পেশ করা হয়েছে, তা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের কারণে সংঘটিত হয়নি। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিষয়গুলোকে সাম্প্রদায়িক উস্কানি হিসেবে প্রচার করে আমাদের মূল উদ্দেশ্যকে বিতর্কিত করছে। সরকার ও জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে আমাদের দাঁড় করাচ্ছে।

একইসঙ্গে আমরা বলতে চাই, ২০২২ সাল বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের জন্য সময়ের পালা বদলের একটি স্মারক বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। দেশের বৃহত্তম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ধর্মাবলম্বীরা বিগত ২০২১ সালের ভয়, শঙ্কা, সংশয়কে দূরে ঠেলে দিয়ে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালন করেছে। সরকারের শীর্ষ মহলের প্রচেষ্টায় নির্বিঘ্নে শারদীয় দুর্গাপূজায় এদেশের অলিতে গলিতে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালেও একই যাত্রা অব্যাহত থাকবে বলেও আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- হিন্দু মহাজোটের সভাপতি বিধান বিহারী গোস্বামী, সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল নির্বাহী, সভাপতি অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায়, প্রেসিডিয়াম মেম্বার অভয় কুমার রায়, যুগ্ম মহাসচিব সুজন দে প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
এসএমএকে/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।