ঢাকা: শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে রাজধানীসহ ঢাকা বিভাগের চার জেলার প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ৩৪২ জন শ্রমিককে প্রায় দুই কোটি ১৭ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর শ্রম ভবনের সম্মেলনকক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব শ্রমিক ও তাদের সন্তান-পরিজনদের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ তহবিলে বর্তমানে জমার পরিমাণ প্রায় ৮০৮ কোটি টাকা। প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করলে, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে এবং শ্রমিকের সন্তানের উচ্চ শিক্ষায় সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হয়। এ তহবিল থেকে এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৮৩৯ শ্রমিক এবং তাদের সন্তানকে ৯২ কোটি ২৫ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শ্রমবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শ্রম মন্ত্রণালয় শুধু গার্মেন্টস শ্রমিকদের সহায়তার জন্য সরকার কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন করেছে। শতভাগ রপ্তানিমূখী তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানির শতকরা ০.০৩ শতাংশ সরাসরি এ তহবিলে জমা হচ্ছে। এ তহবিল থেকে ২০১৭ সাল থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশের যে অর্থ জমা দেন। তা বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর করে রাখা হয়। এ এফডিআরের লাভের টাকা থেকে সহায়তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। মূল জমা টাকায় হাত দিতে হয় না।
তিনি বলেন, চা শ্রমিকদের কল্যাণের জন্যও রয়েছে চা শ্রমিক ভবিষ্যৎ তহবিল। এ তহবিলেও বর্তমানে জমার পরিমাণ ৭১৬ কোটি টাকা।
চেক দেওয়া অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ঢাকা জেলার ২৩৮ জন, গাজীপুর জেলার ৩৮ জন, টাঙ্গাইল জেলার সাতজন এবং মানিকগঞ্জ জেলার শ্রমিকের চিকিৎসা ও শ্রমিককের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় সহায়তা হিসেবে এ চেক দেওয়া হয়।
শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ, কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক ড. মোল্লা জালাল উদ্দীন, বাংলাদেশ শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া ও মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার সাথী বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
জিসিজি/আরবি