ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সমস্যার কথা বলতে মানুষ যেন স্বস্তিবোধ করেন: ডিসিদের প্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
সমস্যার কথা বলতে মানুষ যেন স্বস্তিবোধ করেন: ডিসিদের প্রতিমন্ত্রী ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, একজন ডিসিকে অ্যাট্রাকটিভ পারসোনালিটির অধিকারী হতে হবে, যেন তার কাছে মানুষ সমস্যাগুলো বলার জন্য স্বস্তিবোধ করে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) তিনদিন ব্যাপী জেলাপ্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, একজন ডিসি অবশ্যই গুড ম্যানেজার। অত্যন্ত অ্যাট্রাকটিভ পারসোনালিটি তার ভিতরে রাখতে হবে। সুন্দর আচরণ ও ব্যবহারটা তার মধ্যে থাকবে। যাতে করে যে কোনো মানুষ স্বস্তিবোধ করে সাবলীলভাবে এসে তার সমস্যাগুলো বলতে পারেন। একজন ডিসির অনেক দায়িত্ব, সেই দায়িত্ব তাকে খুব স্মার্টলি পালন করতে হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাজেটের আকার অনেক বড়, তাদের কাজও করতে হচ্ছে অনেক বেশি। সারা দেশে এক হাজার ৭০০ প্রকল্প চালু আছে। সেই প্রকল্পগুলো যেন সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সেজন্য ডিসিরা আরও বেশি সম্পৃক্ত হবেন, আরও বেশি কাজ করবেন। কাজগুলোকে এনজয় করতে হবে এবং কাজগুলো সুনিপুণভাবে করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনমুখী জনপ্রশাসনের কথা বলে আসছেন উল্লেখ করে ফরহাদ হোসেন বলেন, জাতির পিতারও একই কথা ছিল। আমাদের ডিসিদের সেবার মান জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারে সেটার জন্য আমরা কাজ করছি। সেজন্য আমরা বিভিন্ন রকম পদক্ষেপও নিয়েছি। নির্বাচনী ইশতেহারে আমাদের জনমুখী জনপ্রশাসনের যে কথাটি ছিল, তা বাস্তবায়ন করছি। করোনার সময় জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতির পিতার কথাটি- মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে হবে, যারা সেবা নিতে আসবে তারা তোমাদের ভাই তোমাদের আত্মীয়। তাদেরকে সম্মান দিয়ে চলতে হবে। আমরা সেটি স্মরণ করে দিয়েছি’।

তিনি আরও বলেন, আমাদের স্লোগান আছে- গ্রাম হবে শহর। সেক্ষেত্রে আমাদের গ্রামগুলো শহর হচ্ছে। গ্রামগুলোতে অনেকগুলো রাস্তাগুলো করে দিয়েছি। আমাদের পারচেজিং ক্যাপাসিটি বেড়েছে, সেক্ষেত্রে আমরা যদি একটু দৃষ্টি দেই, আমাদের শহরগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, আমাদের গ্রামগুলোর পথগুলো সুন্দর করে দেওয়া সম্ভব।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্দেশনা দিয়েছি যাতে একজন ডিসি সফলভাবে মাঠের প্রত্যেকটা বিষয়ের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারেন। উন্নয়নের যে কাজগুলো আছে সেখানে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারেন। কারণ ডিসি হিসেবে তার দায়িত্ব শেষ করে যখন তিনি মন্ত্রণালয়ে ফিরে আসবেন, তখন দেশের জন্য তাকে বিভিন্ন পলিসি তৈরি করতে হবে এবং মন্ত্রণালয় থেকে পলিসি ইমপ্লিমেন্টেশন করতে হবে। যার কারণে যত বেশি তিনি সম্পৃক্ত হতে পারবেন ডিসি হিসেবে, মানুষর কল্যাণে এবং সরকারের যে পলিসি আছে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য সেগুলোতে যত বেশি সম্পৃক্ত হতে পারবেন, সেখান থেকে তিনি অনেক কিছু শিখে আসতে পারবেন। যেগুলো পরবর্তীতে আমাদের প্রয়োজন হবে। সেজন্য তাদেরকে আন্তরিকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার অনুরোধ করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
এমআইএইচ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।