ঢাকা: ভূমি অফিসগুলোর অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম দূর করতে সেবা কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
তিনি আরও জানান, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ভূমি সেবা ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রমকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ সব তথ্য জানান।
মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা।
লিখিত জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, ভূমি মন্ত্রণালয় ভূমি ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে ভূমি পরিষেবা অটোমেশন সিস্টেম প্রবর্তন। এক্ষেত্রে চালু রয়েছে ই-মিউটেশন, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর আদায় সিষ্টেম, ডিজিটাল রেকর্ড রুম, ডাকযোগে খতিয়ান ও পর্চা প্রাপ্তি, ডিজিটাল সার্ভেয়িং এবং ম্যাপিং, অনলাইন জলমহাল ইজারা, ল্যান্ড জোনিং ইত্যাদি।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম ও ভূমি আইন সম্পর্কে পারদর্শী করতে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং দেশের সমগ্র ভূমি অফিসসমূহের ডিজিটাল ডিভাইস প্রদান করা হয়েছে। যাতে সেবা প্রদান দ্রুত এবং ত্রুটিমুক্ত হয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সাধারণ নাগরিকগণ ভূমি অফিসে না এসে নামজারির আবেদন, অনলাইনে সার্টিফাইড পর্চা ও মৌজা ম্যাপের জন্য আবেদন করতে পারছেন এবং ঘরে বসেই খতিয়ান বা ম্যাপ পেয়ে যাচ্ছেন ও খাজনা দিতে পারছেন। যেকোনো ভূমি সেবা সম্পর্কে জানতে বা অভিযোগ জানাতে হট লাইনে (১৬১২২২) কল করতে পারছেন। ভূমি ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে ভূমি মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানান, নতুন গুচ্ছ গ্রাম স্থাপনের পরিকল্পনা আছে। ইতিমধ্যে সারাদেশে গুচ্ছগ্রাম (ক্লাইমেট ভিকটিমস রিহ্যাবিলিটেশন প্রজেক্ট) ও গুচ্ছগ্রাম-২য় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় গুচ্ছগ্রামের সংখ্যা এক হাজার সাড়ে ৫০০টি এবং ৩২১টি উপজেলায় এগুলো অবস্থিত। গুচ্ছগ্রাম ২য় প্রকল্পের বর্তমান মেয়াদকাল চলতি বছরের ৩০জুন পর্যন্ত। স্থানীয় জেলার ডিসিদের মাধ্যমে নতুন তালিকা পেলে সেখানেও গুচ্ছগ্রাম স্থাপন করা হবে।
একই দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী জানান, ভূমিহীন কৃষক ও পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে খাসজমি বরাদ্দ কার্যক্রম বর্তমানে চালু আছে। বিগত ৫ বছরে ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৯২৬জন ভূমিহীন কৃষক ও পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ৯৬ দশমিক ৭২৫ একর খাস জমি বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
টিএ