ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ছদ্মবেশে সাব-রেজিস্ট্রিসহ চার অফিসে দুদকের অভিযান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৩
ছদ্মবেশে সাব-রেজিস্ট্রিসহ চার অফিসে দুদকের অভিযান

ঢাকা: সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে গ্রাহকের জমির দলিল রেজিস্ট্রেশনে ঘুষ দাবির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ছদ্মবেশে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে গ্রাহকের জমির দলিল রেজিস্ট্রেশনে ঘুষ দাবির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সিলেট জেলা কার্যালয় থেকে একটি টিম এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে টিম প্রথমে ছদ্মবেশে তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে এবং কোনো দলিলের দাতা ও গ্রহীতা হয়রানির স্বীকার হচ্ছে কিনা তা সরেজমিনে যাচাই করে। সাব-রেজিস্ট্রার অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটিতে থাকায় অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে দলিল দাতা-গ্রহীতাদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। দলিল দাতা-গ্রহীতারা যেন কোনো হয়রানির স্বীকার না হয় সে বিষয়ে উপস্থিত কর্মরত কর্মচারীদের সতর্ক করা হয়।  

এদিকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ, বিজয়নগর ঢাকা, এর কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সনদ দেওয়া, নামের ভুল সংশোধন, রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়াসহ অন্যান্য সেবা দিতে সরকার নির্ধারিত অর্থের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ সেবা প্রার্থীদের হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা থেকে একটি টিম এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে দুদক টিম ছদ্মবেশে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে। পর্যবেক্ষণকালে বেশ কিছু অনিয়ম এনফোর্সমেন্ট টিমের কাছে প্রতীয়মাণ হয়। পরবর্তীতে অনিয়মগুলো বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের সচিবকে অবহিত করা হলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন পূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন সিসিটিভি ফুটেজ যাচাইঅন্তে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবেন মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন এবং অভিযুক্ত একজন কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক অন্য শাখায় বদলি করেন।

অন্যদিকে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড টঙ্গী, গাজীপুরের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রাহক গ্যাস বিল কপি দিতে ঘুষ দাবির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, গাজীপুর থেকে একটি টিম এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে টিম কর্তৃক অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যবস্থাপক এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য নেওয়া হয় ও প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।  

এছাড়া বিআরটিএ, ঝিনাইদহ এর মোটরযান পরিদর্শকের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের বিভিন্ন সেবা দিতে হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, ঝিনাইদহ হতে একটি টিম এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে টিম বিআরটিএ অফিস, ঝিনাইদহ এবং এর আশেপাশে কম্পিউটার দোকানগুলো থেকে ছদ্মবেশে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করে। অভিযান টিমের সদস্যরা বিআরটিএ অফিসের ভেতরে গ্রাহক সেজে অবস্থান নেন এবং পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করে। অভিযানকালে বিআরটিএ অফিসে দালালদের উপস্থিতি প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। উপস্থিত সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দালাল ছাড়া লাইসেন্স করতে এলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারী দালালদের সঙ্গে যোগসাজশে সিন্ডিকেট পরিচালনা করে বলে জানান সেবা প্রার্থীরা। এ সময় একজন সেবাগ্রহীতার লাইসেন্স প্রাপ্তিতে হয়রানির বিষয়টি সহকারী পরিচালককে জানানো হলে তিনি বিষয়টি তাৎক্ষণিক সমাধান করে দেন। সামগ্রিকভাবে অভিযানকালে লাইসেন্স দিতে হয়রানির বিষয়টি প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতীয়মান হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৩
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।