ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে তেলের জাহাজের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণে আটজন দগ্ধের ঘটনায় হুমায়ুন কবির (৫৪) নামে আরও একজন মারা গেছেন। এনিয়ে এ ঘটনায় দুইজন মৃত্যু হলো।

শনিবার (১০ জুন) রাত ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হুমায়ুন মারা যান।  

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া।  

তিনি জানান, মৃত হুমায়ুনের শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে গত মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরের দিকে একই হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ৬৭ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যান তাজুল ইসলাম লিমন (২০)।

তার আগে গত শনিবার (৩ জুন) দিনগত রাত ১টার দিকে রূপগঞ্জে গাজী ব্রিজ সংলগ্ন দড়িকান্দি ডকইয়ারে ‘ওটি সাংহাই-এইট’ নামে জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন জাহাজটির স্টাফ তাজুল ইসলাম লিমনসহ আ. মান্নান রাহাদ (২৩), হুমায়ুন কবির (৫৪),  ইমতিয়াজ আহমেদ (৪২), রুবেল (৩৮), সোহেল (৩৮), নাজমুল (৩৩) ও রাকিব (২৪)।

জাহাজটির স্টাফ আ. মান্নান রাহাদ জানান, তারা জাহাজে করে চট্টগ্রাম থেকে নরসিংদীতে তেল নিয়ে যান। সেখানে তেল আনলোড করে তারা জাহাজটি নিয়ে রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের ডকইয়ারে গিয়ে ভেড়ান। শনিবার রাত ১টার দিকে তারা যখন জাহাজটির ডেকের ওপরে ছিলেন, তখন ইঞ্জিন রুমে হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণ হয়। তাদের শরীরে মুহূর্তে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা নদীতে লাফিয়ে পড়েন। এরপর সাঁতরে পাড়ে ওঠেন। তখন সহকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম ঘটনার দিন জানান, জাহাজের আগুনের ঘটনায় মোট আটজন রোগীকে বার্ন ইনস্টিটিউটের নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে তিনজনকে ওইদিনই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাজুলসহ পাঁচজনকে ভর্তি রাখা হয়েছিল।  

ইমতিয়াজের ৩০ শতাংশ, রুবেলের ৪৫ শতাংশ, সোহেলের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছেন।

** শীতলক্ষ্যায় জাহাজে বিস্ফোরণ, দগ্ধ একজনের মৃত্যু

বাংলাদেশ সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
এজেডএস/এসআরএস