ঢাকা: পানির নিজস্ব উপাদান আছে। সেই উপাদন নষ্ট হলে মাছ উৎপাদনেও ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেছেন, কোনোভাবেই পানির উপাদান নষ্ট করা যাবে না। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে মাছ বিদেশে রপ্তানি করা।
সোমবার (২৪ জুলাই) রমনায় মৎস্য অধিদপ্তরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মাছ উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে নিরাপদ ও স্বাস্থসম্মত মাছ উৎপাদন বাড়াতে হবে। এটি দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, দেশে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪৭ দশমিক ৫৯ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের (২০২০-২১) চেয়ে ৫৫ শতাংশ বেশি। ওই সময় মাছ উৎপাদিত হয়েছিল ৩০ দশমিক ৬২ লাখ টন। উৎপাদন বাড়ায় মাথাপিছু মাছ গ্রহণের হার ৬০ থেকে বেড়ে ৬৭ দশমিক ৮০ গ্রাম হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে স্মার্ট ফিশারিজ গড়ে তোলা হবে। ২০৪১ সালে মৎস্য উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ লাখ টন। সমুদ্রে মাছ ধরা ট্রলার মনিটরিং করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
রেজাউল করিম বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ৭০ হাজার টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। সেখান থেকে আয় হয়েছে ৪ হাজার ৭৯০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এই খাতে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মাছের বহুমুখী ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিশেষ করে মাছের চিপস, কেকসহ বিভিন্ন প্রকারের খাদ্যপণ্য তৈরি করা হবে। তিনটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। এসব ল্যাবে মাছের খাবার নিরাপদ কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। আর যারা মাছের খাবারে ভেজাল মেশায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম ও এ টি এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫, জুলাই ২৪, ২০২৩
জিসিজি/এমএইচএস